নিজস্ব সংবাদদাতা : শিল্পী সাইদুর রহমান জারভাস আর্ট অরগানাইজেশন, গ্রীস, এর আমন্ত্রনে ২৪মে ২০২৩ যুক্তরাস্ট্র গমন করেন ৬ দিন ব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল আর্ট সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণের জন্য, যেখানে ১৫ টি দেশের ২৫জন শিল্পীরা অংশগ্রহন করেন। এটি আয়োজন করেন জারভাস আর্ট অরগানাইজেশন, গ্রীস। এর পর তিনি ৮ জুলাই ১ দিন ব্যপী আর্ট ক্যাম্প এ অংশগ্রহন করেন নিউইয়র্কের স্কোহারিতে, যেটি আয়োজন করেন বাংলাদেশী আর্টিস্টস ফোরাম, শিল্পী সালমা কানিজ ও সাতিল সিনহার সৈাজন্যে আর্ট ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্পী যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যামাইকা আর্ট সেন্টার গ্যালারীতে একটা গ্রæপ চিত্র প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করেছেন। প্রদর্শনীটি আয়োজন করেছেন বাংলাদেশী আমেরিকান আর্টিষ্ট আর্ট ফোরাম, নিউইয়র্ক। প্রদর্শনীটিতে ৪৪ জন শিল্পী অংশগ্রহন করেছেন। প্রদর্শনীটি ৬ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত চলেছে। শিল্পী সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৭৩ সালে ময়মনসিংহে, আশৈশব বেড়ে উঠেন ঢাকা শহরের আরমানিটোলাতে।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ, থেকে ব্যাচেলর ইন ফাইন আর্ট এবং মার্স্টাস ইন ফাইন আর্ট করেছেন সম্পন্ন করেন। ১৯৯৭ সালে জাপানের মিয়ে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভিজুয়াল আর্ট এন্ড আর্ট এডুকেশন বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য তাকে (মনবুশো) জাপান সরকারি বৃত্তি (ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ) প্রদান করা হয়। তিনি ১৯৯৯ সালে মিয়ে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আধ্যয়ন শেষ করেন।
তিনি ২০০৩ সালে নারায়নগন্জ আর্ট ইনস্টিটিউটে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও তিনি সালতানাত অফ ওমানে অবস্থিত বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাটে শিল্প শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত। শিল্পকলায় বিশেষ দক্ষতার জন্য তিনি বহু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ২০২১ সালে ঃযব ড়িৎষফ ধৎঃরংঃং পড়সসঁহরঃু, ওহফরধ কতৃক আয়োজিত একটি আর্ন্তজাতিক শিল্প প্রতিযোগিতায় তার আঁকা শিল্পকর্মের জন্য আন্তর্জাতিক পুরুস্কার ‘আল্টিমেট গোল্ড আ্যওয়ার্ড’ অর্জন করেন। ২০০৬ সালে, তিনি বাংলাদেশ শিল্পী কল্যান সংস্থা, ঢাকা, র্কতৃক আয়োজিত তরুন শিল্পীর শিল্প প্রতিযোগিতা এবং প্রদর্শনীতে বিশেষ পরুষ্কার পান।
১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনষ্টিটিউটের বার্ষিক শিল্প প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীতে জলরং চিত্রর জন্য শিল্পী শফিকুল আমিন স্মৃতি পুরুস্কার অর্জন করেন। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত জলরং চিত্র প্রতিযোগিতায় ১৯৮৭ সালে দ্বিতীয় পুরুস্কার এবং ১৯৮৮ সালে তিনি প্রথম পুরুস্কার অর্জন করেন। শিল্পী তার চারপাশের জীবনের অভিজ্জতা থেকে আঁকার চেষ্টা করেন। তিনি প্রতিনিয়ত যে সময়ের, মুহূর্তগুলোর মধ্যে দিয়ে যান সেই সময়ের জগত ও এর বাসিন্দাদের এবং প্রকৃতিকে দেখার এবং বোঝার চেষ্টা করেন। তিনি দেখেন মানুষ, তাদের আচরন, একে অপরের সাথে মিথস্ক্রিয়া, তাদের উচ্চাকাংখা, আকাংখা , তাদের চিন্তাভাবনা, যা তাকে চিন্তাশীল করে তোলে এবং তাঁর শিল্পে সেই সব আঁকার চেষ্টা করেন।