বিনোদন প্রতিবেদক : সুন্দরী তরুণীদের প্রতিভা অন্বেষণে ‘কদোমো’ (Kodomo) আয়োজিত মিস এভারগ্রিন বাংলাদেশ সিজন ওয়ানে মুকুট জিতেছেন হ্যাপি আক্তার মমতাজ। শুক্রবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জমকালো গ্রান্ড ফিনালের মাধ্যমে ঘোষনা করা হয় সেরা তিন বিজয়ীর নাম। এবারেই কোন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সেরা দিনে জায়গা পেয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার নারী ইয়াসিন আহমেদ সকাল।
এক প্রশ্নের জবাবে মুকুট জয়ী হ্যাপি আক্তার মমতাজ বলেন, “আমি যেটা শুনেছি সেটা হল স্বচ্ছতার ব্যাপারটা। এখানে সবাই খুব ভালো, এখানে এসে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি ।”
এক প্রশ্নের জবাবে নুসরাত জাহান দিতি বলেন, “এই গ্রাউন্ডে অবশ্যই কিছু করতে পেরেছি এবং অনেক কিছু দেখতে পেরেছি। সামনে আমি আরো অনেক ভালোভাবে কাজ করব। কাজের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতাকে প্রকাশ করতে পারাকে আমি বেশি পছন্দ করি।”
ইয়াসিন আহমেদ সকাল বলেন, ভীষণ ভালো লাগছে , “আমি তো ভীষণ খুশি কারণ আজকে এই জয়টা শুধু আমার একার নয় এই জয়টা মানুষের জয় হয়েছে। আরো একবার প্রমাণিত হলো সুন্দরী প্রতিযোগিতা শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য নয় এটা মূলত মানুষের ভেতরের সৌন্দর্যকে তুলে ধরার জন্য।” এই গ্র্যান্ডফিনালের অনুষ্ঠানটির বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন কিংবদন্তি চিত্র নায়িকা রোজিনা, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আঁখি আলমগীর, নিত্য পরিচালক ইভান শাহারিয়ার সোহাগ, বিউটিসিয়ান আফরোজা পারভীন ও মডেল অন্ত করিম। এদিন জনপ্রিয় ২ অভিনেত্রী তারিন ও শখের নৃত্যে মুগ্ধ ছিলেন উপস্থিত দর্শকরা। ‘মিস এভারগ্রিন বাংলাদেশ সিজন ১’ আয়োজনটি অডিশন রাউন্ড থেকেই বেশ সাড়া ফেলে কারণ এই প্রথম কোন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দুজন ট্রান্সজেন্ডার নারী ও একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী প্রতিযোগী ‘ইয়েস কার্ড’ পায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোন মেইন স্ট্রিম সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সাধারণ মেয়েদের সাথে লড়াই করার সুযোগ পান তারা। অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, আমার মনে হয় এরা সবাই খুব ট্যালেন্ট। এখন আমাদের মিডিয়া কিন্তু অনেক অনেক বেড়ে গেছে প্রাইভেট চ্যানেল আছে, ওটইটই প্লাটফর্ম আছে ইত্যাদি। আমার মনে হয় যে এরা এগিয়ে যেতে পারবে এদের কাজের অভাব হবে না যদি নিষ্ঠার সাথে কাজ করে, যদি মনে করে আমি কাজ করবো। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, আমি কিন্তু কোন রকম গ্রুম হওয়ার সুযোগ পাইনি , আমার ভাগ্য ভাল যে আমার পিছনে জাজ মাল্টিমিডিয়া অর্থলগ্নী করেছেন তারপরেই অনেকে প্রযোজক আমার পিছনে অর্থলগ্নী করেছেন। আমি কিন্তু কাজ করতে করতে শিখেছি, যারা এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আসছে তারা সবাই শিখে যাচ্ছে। প্রতিযোগীদের টানা দেড় মাস গ্রুমিং করে তৈরি করেছিলেন বুলবুল টুম্পা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মডেল বারিসা হক। অনুষ্ঠানটির আয়োজক মেজবাউল আলম সাজু বলেন , অনেক পরিশ্রম করেছি অনেক কষ্ট করেছি এখান থেকে যেটা পেয়েছি সেটা হলো আমার কষ্টটা সার্থক হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন তরুণীদেরই নির্বাচিত করা হয়েছে যারা আগামীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের।