বিনোদন ডেস্ক : কিংবদন্তি অভিনেতা, লেখক, নাট্যকার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চলে যাওয়ার দুই বছর পূর্ণ হলো আজ। ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী অভিনেতা তিনি। ছয় দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর মৃত্যু হয় সৌমিত্রর।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সর্বপ্রথম কাজ ১৯৫৯ সালে সত্যজিৎ’র অপুর সংসার। তিন কন্যা (১৯৬১), অভিযান (১৯৬২), চারুলতা (১৯৬৪), অরণ্যের দিনরাত্রি (১৯৬৯), অশনি সংকেত (১৯৭৩), সোনার কেল্লা (১৯৭৪), জয় বাবা ফেলুনাথ (১৯৭৮), হীরক রাজার দেশে (১৯৮০), ঘরে বাইরে (১৯৮৪), গণশত্রু (১৯৮৯), আকাশ কুসুম (১৯৬৫), ক্ষুধিত পাষাণ (১৯৬০), ঝিন্দের বন্দী (১৯৬১), স্বরলিপি (১৯৬১), সাত পাকে বাঁধা (১৯৬৩), পরিণীতা (১৯৬৯), সংসার সীমান্তে (১৯৭৫) ও গণদেবতার (১৯৭৮) মতো ছবিতে সৌমিত্র অভিনয় করেছেন।
সিনেমা ছাড়াও তিনি বহু নাটক, যাত্রা এবং টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। অভিনয় ছাড়া তিনি নাটক ও কবিতা লিখেছেন। নাটক পরিচালনা করেছেন। তার মঞ্চনাটক দলের নাম ‘সংস্তব’। তিনি ‘এক্ষণ’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি তার দলের হয়ে বাংলাদেশে গঙ্গা যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিবেশন করেন ‘গঙ্গাছড়ি’। তিনি ২০০৪ সালে পদ্মভূষণ, ২০১২ সালে দাদাসাহেব ফালকে পান। ২০১৭ সালে তাকে ফ্রান্স সরকার লিজিয়ন অব অনার দিয়েছেন।
১৯৩৫ সালের জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ জন্ম হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। চট্টোপাধ্যায় পরিবারের আদি বাড়ি ছিল বাংলাদেশের কয়া গ্রামে। তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ঠাকুরদার সময় থেকেই চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে থাকতে শুরু করেন। বাবার বদলি চাকরির কারণে ক্লাস ফাইভের পর হাওড়ায় চলে আসেন সৌমিত্র। সেখানেই স্কুলে পড়াশোনা। প্রথম থেকেই কবিতা, আবৃত্তি, সাহিত্য, বাম রাজনীতির দিকে ঝোঁক ছিল প্রচুর। তাই সৌমিত্র মানেই যে শুধু অভিনেতা তা নয়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নিজেকে মেলে ধরেছিলেন সংস্কৃতির নানা দিকে।