নিজস্ব সংবাদদাতা: বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ ঘোষিত কার্প-জাতীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী ঘেঁষে গড়ে উঠে অবৈধ ইটের ভাটা।
সারাবছর হালদা মা মাছের প্রজনন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার যান্ত্রিক নৌযান চলাচল নিষিদ্ধি থাকলেও মানছে না হালদার তীরে গড়ে উঠা ইটভাটার মালিকরা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হালদায় জেগে উঠা চরের মাটি কেটে যান্ত্রিক নৌযানে পরিবহন করে ভাটায় এনে স্তুপ করে ইট তৈরির জন্য।
জানা যায়, হালদা নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে গত ২০২১ সালে অভিযান চালিয়ে নোয়াপাড়া এ.আলী নামে একটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। গত বছর থেকে এই ইটভাটা ফের চালু করেছে।
এ ইটভাটা আবারও চালুর জন্য হালদা থেকে মাটি এনে স্তূপ করা হচ্ছে। কয়লার পরিবর্তে ইটভাটায় জালানী হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বনের কাঠ। অপরদিকে উরকিচর ইউনিয়নে হালদা ঘেঁষে শান্তি ব্রীকস নামে গড়ে উঠা ইটভাটায় হালদা নদীর চরের মাটি গিলে খাচ্ছে।
হালদা নদীর তীরে গড়ে উঠা এ. আলী, শান্তি ব্রিকস ইট ভাটায় ইট তৈরির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে হালদা নদীর চর কাটা মাটি।ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়াই হালদা নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।হুমকির মুখে পড়েছে নদীর জীব-বৈচিত্র্য।
নদী সুরক্ষা আইনে হালদাপাড়ের একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ইটভাটা গড়ে তোলা নিষিদ্ধ হলেও ইটভাটার মালিকরা তা মানছেন না। বর্তমানে দু’টি ইটভাটায় ইট পোড়ানো প্রস্তুতি নিয়েছে।
ইট ভাটার দুষিত কালো ধোঁয়ায় নদীতে বিচরণ করা মা মাছ, ডলফিনসহ জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছে হালদা বিশেষজ্ঞরা।রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, নদীর পাড়ে দখল-দূষণ করে ইটভাটা চালানো যাবে না।হালদাকে দূষণমুক্ত করতে এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।