এইচ এম বাবলু, বাউফল, পটুয়াখালী:
বাউফলে কৃষকের মুখে হাঁসি ও স্বপ্ন ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাতে। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে অধিকাংশ উপকুলীয় এলাকা আমন ধান ,আগাম তরমুজ ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ছে।
কিভাবে ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন এই ভেবে এখন দিশেহারা কৃষকরা। কষকদের অনেকেই বিভিন এনজিও এবং ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আবাদ করেছেন ফসল। তাই লোন পরিশোধ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৩৪ হাজার ৭শত হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।
তার মধ্যে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ি ঘূর্নিঝড় মিধিলি’র আঘাত ৪ হাজার ১ শত ৩৪ হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া লাল শাক, ফুলকপি, মিষ্টি কুমরা, লাউ, বেগুন, টমটমসহ বিভিন্ন প্রকারর শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছে ৩শ ৪০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে ৩২০ হেক্টর জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।
এ ছাড়াও খেসারি ডাল চাষ হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে । ক্ষতিগ্রস্থ ২শ র ৬০ হেক্টর জমির খেসারি ডাল। মরিচ চাষ হয়ছ ১২ হক্টর জমিতে। ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে ৪ হেক্টর জমির মরিচ।
সরিষা চাষ হয়েছে ২০ হেক্টর জমিতে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২ হেক্টর জমির সরিষা। তবে বেসরকারী হিসাব অনুযায়ি ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরও বেশী হবে। এর ফলে উৎপাদনর লক্ষ অর্জন হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ কুন্ড বলেন, এখন পর্যন্ত ক্ষক্ষতির তথ্য আমাদের হাতে আসেনি। আমাদর উপসহকারী কৃষি অফিসারগন মাঠে গিয়ে কৃষকদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ দিচ্ছেন। দুই-এক দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জেনে সেই তথ্য আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে অধিকাংশ ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ায় কারণে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।