চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের প্রায় শতবছর বয়সী কালুরঘাট সেতুর জরাজীর্ণ অবস্থা থেকে মেরামত পূর্বক শুধুমাত্র রেল চলাচলের উপযোগী করে, কিন্তু এখন রেল সেতু হিসেবে বহাল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তাহাতে ভাগ্যের চাকা ঘুরেনি বোয়ালখালী তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর। তবুও নানান ঝুঁকি ও ভোগান্তি মাথায় নিয়ে প্রতিদিন রেল সেতু চলাচলের পথ বন্ধ করায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ জীবন বাজি খেলে মান্দাতার আমলের ফেরী পারাপারে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম শহরসহ চান্দগাঁও ও মোহরা এলাকার প্রায় ২০ লক্ষাধিক মানুষ এ সেতুর ওপর নির্ভরশীল থাকলেও রহস্যজনক কারণে সরকার সেতুটি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেও নতুন কালুরঘাট সেতুটি অদ্যবধি আর নির্মাণের বাস্তবায়ন হয়ে উঠেনি।
পুরোনো কালুরঘাট সেতু দিয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল চলাচলের উদ্বোধন হলেও চট্টগ্রামবাসী থেকে যায় সেতু বিড়ম্বনার শিকারে। কালুরঘাট সেতুর জায়গায় নতুন করে জাতীয় স্বার্থে একটি দ্বিমুখী সড়ক সংযুক্ত রেল-সড়ক সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে চট্টগ্রামবাসী।
চট্টগ্রামবাসীর দুঃখ একটাই, এই কালুরঘাট সেতু। চট্টগ্রামবাসীর এই কষ্ট লাগব হবে কবে নাগাদ? উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেলেও বাংলাদেশের রাস্তাঘাট। পরিবর্তন হয়নি এই কালুরঘাট সেতু।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের তথা কক্সবাজারের ঐতিহাসিক প্রবেশদ্বার কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট নতুন সেতু হচ্ছে না কেন? চট্টগ্রামবাসীর অজানা রয়েগেছে একটি ক্ষুদ্র অংশ বোয়ালখালীবাসী কালুরঘাট সেতু থেকে বঞ্চিত রয়েইগেছে।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও বোয়ালখালীবাসীর দাবি একটাই-অচিরেই নতুন সরকারের কাছে এ সেতুর বাস্তবায়ন চাই। দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার রেললাইনের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের বিকল্প নেই। তাই আমরা বারবার জোর দাবি জানিয়ে আসছি।
কালুরঘাটে নতুন সেতু দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী নিয়ে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যারিষ্টার মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন, সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
এই নাগরিক ফোরাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচারের পাশাপাশি কালুরঘাট সেতুর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন ও আগামীতে সরকার গঠন করলে কালুরঘাট সেতু অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেন বাস্তবায়ন হয় তার জন্য কোরাম কর্তৃক আয়োজিত আজকের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের রূপকার ও আন্তর্জাতিক আইনজীবী- মানবাধিকার সংগঠক ব্যারিষ্টার মনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন বিশ্লেষক প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, সাবেক এমপি ও চাকসু ভিপি মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক জসিম উদ্দিন সবুজ, সাংবাদিক মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, লেখক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক দেব প্রসাদ দাস দেবু, সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ মোহাম্মদ ইসমাইল, উন্নয়ন সংগঠক আবু তাহের চৌধুরী, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক স.ম.জিয়াউর রহমান, মোঃ আকতার হোসেন নিজামী, সাংবাদিক তাসলিম হাসান হৃদয়, সাংবাদিক ইমতিয়াজ শাওন, সিরাজুল ইসলাম, লায়ন মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, প্রকৌশলী মোহাম্মদ এমরান, নারীনেত্রী ফাতেমা ডলি, আয়েশা ছিদ্দিকা, অধ্যাপক এমকেএম নুরুল বশর ভুঁইয়া, মোঃ বেলাল হোসেন, শম্ভুনাথ চক্রর্বতী, পারভীন আকতার, শুভজিৎ বড়ুয়া,বিপ্লব দাশ, মোঃ রুহুল আমিন সালমান, আলমগীর চৌধুরী, কে এম শহীদুল্লাহ, মোঃ গেলাম রসুল মান্নান, লাভলী ডিও, কামাল উদ্দিন খোকন, আসাদুজ্জামান, মোঃ আনিসুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।