চট্টগ্রাম ব্যুরো : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম -১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামছেন চট্টগ্রামের লক্ষ লক্ষ তরুণের অভিভাবক, তারুণ্যের প্রতীক, করোনা প্রতিরোধক বুথের উদ্ভাবক, যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গণে সম্ভাব্য পার্থী হিসেবে বেশ আলোচনায় আছে বাবরের নামটি।
চা দোকান, হাট-বাজার, স্টেশন এলাকাসহ যেখানেই লোক সমাগম সেখানেই আলোচনা হচ্ছে বাবরকে নিয়ে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে সেবামুলক বিশেষ কাজের ফলে জনমনে জায়গা করে নেয়া হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এমপি নির্বাচিত হলে দল, দেশ ও সমাজের জন্য আরো বেশি করে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তারা মনে করছেন।
আলোচনার বেশিরভাগই থাকছে বাবরের সেবামুলক কাজের অংশবিশেষ। মো : আলমগীর নামের এক রিক্সাচালক বলেন, ’বাবর ভাই খুব ভালো মানুষ, অবহেলিত মানুষের উপকার করাই যেন তার নেশা।
কারো কোন কষ্টের কথা শুনলেই তিনি ছুটে যান তার কাছে যতক্ষন তার জন্য ভালো কিছু করতে না পারেন ততক্ষন যেন তিনি অস্থিরতার মধ্যে সময় কাটান। করোনাকালীন সময়ে আমি খুব খারাপ অবস্থায় পড়েছিলাম।
অন্য একজনের পরামর্শে এই বাবর ভাই এর কাছে গেলাম, তিনি আমাকে চিনেনও না অথচ আমাকে খাদ্য ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন। শুধু আমিই নয় এমন হাজার হাজার নিরিহ লোক আছে যাদের তিনি সহায়তা করেছেন।
সুযোগ পেলে তারাও একদিন এর প্রতিদান দিবে। তিনি যদি এমপি পদে নির্বাচন করেন তাহলে খুবই ভালো হবে। বর্তমানে এমপিদের কাছেই যাওয়া যায় না। সেখানে বাবর ভাই অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম।
তিনি নিজেই অবহেলিত মানুষের পাশে গিয়ে তাদের কষ্টের কথা শোনেন এবং সমস্যার সমাধান করার জন্য ঝাপিয়ে পরেন।’
জানা যায়, চট্টগ্রাম শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র নন্দনকাননে বেড়ে ওঠা ও রাজনৈতিক হাতেখরি হেলাল আকবর চৌধুরী চট্টগ্রামের গণমানুষের নেতা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র প্রয়াত চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারি হয়ে দল গোছনোর পাশাপাশি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন জনসেবায় ও মানবতার কল্যাণে।
বর্তমানেও তিনি দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম -৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনের সাংসদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে সরব রয়েছেন রাজনীতির মাঠ ও সেবামুলক কাজে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা প্রতিরোধে নানা রকম কাজের পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধক বুথ উদ্ভাবন করে ও নিজস্ব অর্থে অসহায় মানুষদের খাবার এবং অর্থ সহায়তার মাধ্যমে আমজনতার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে, করোনা প্রতিরোধক বুথের উদ্ভাবক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, ’আমি কিশোরকাল থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমার রাজনৈতিক গুরু প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দির চৌধুরীর ছত্রছায়া, স্নেহ ও অনুপ্রেরণায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে আছি।
দলের দুঃসময়ে মাঠে ছিলাম। দলের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বহুবার কারাবরণ করেছি। বহু মিথ্যা মামলায় আসামী হয়েছি কিন্তু নীতির প্রশ্নে কখনো আপোষ করিনী।
দল ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুকণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি মনে করেন আমাকে মনোনয়ন দিলে দেশ ও দলের জন্য মঙ্গল হবে তবে আমি নির্বাচন করতে আগ্রহী।
তবে সবার আগে আমার নেত্রীর সিদ্ধান্ত। নির্বাচনে আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী যা সিদ্ধান্ত দিবে আমি সেই অনুযায়ী কাজ করব।’
জানা যায়, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত ছোটকাল থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ সালে নন্দনকানন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
পর্যায়ক্রমে ১৯৮৯ সালে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের জি-এস নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৯৯ সালে তৎতালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য, ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য, ২০১০ সালেও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এবং ২০১৩ সালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ অর্থ সম্পাদক মনোনীত হন।
এবিষয়ে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও নগর ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শিবু প্রসাদ চৌধুরী বলেন, ’দলের দুঃসময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখেছেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। একের পর এক রাজনৈতিক মোকাবেলায় বিএনপি জামাতের চক্রান্ত নসাৎ করে তাদের দুর্গ ভেঙ্গে দিয়েছেন।
পুরো চট্টগ্রামে তাঁর দলীয় একটি বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে, তাকে চট্টগ্রামের যেকোন আসন থেকে মনোনয়ন দিলে খুব সহজেই বিজয়ী হয়ে আসবে বলে আমরা মনে করছি।’
এব্যপারে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার উল আলম চৌধুরী নোবেল বলেন, ’তারুণ্যের অহংকার হেলাল আকবর চৌধুরী।
তিনি আদর্শ ও নীতিতে অবিচল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সাহসী ধারক ও বাহক।
দলের জন্য এই নেতার অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা রয়েছে। কাজ করার মতো প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকা এই ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়নের মাধ্যমে এমপি নির্বাচিত করলে দল যেমন লাভবান হবে, অন্যদিকে অক্ষুন্ন থাকবে দলের সুনাম। আমজনতার দোরগোড়ায় পৌছে যাবে স্মার্ট বাংলাদেশের সেবার পরিধি।’
বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক ও চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিন বলেন, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত।
রাজপথে আন্দোলন লড়াকু সৈনিকের ভুমিকায় দীর্ঘ বছর অতিবাহিত করেছেন বাবর। স্কুল জীবন থেকে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়েই ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে জরিয়ে পড়ছেন।
তিনি ওমর গনি এম ইএস কলেজ ছাত্র সংসদের জি এস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নগর যুবলীগ হতে শুরু করে কেন্দ্রীয় যুব লীগে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রচারক হিসাবে কাজ করে আসছেন।
হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারসহ শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার জন্য রাজপথে নিরলস ভাবে কাজ করেছেন। তিনি অসংখ্য বার মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে জেল কেটেছেন।
তিনি জামায়াত বি এন পির ক্যাডারদের আতংক ছিলেন। তাকে জামায়াতে ও বি এন পির কিলার’রা বহুবার হত্যার চেষ্টা করেছেন। তিনি একাধিকবার দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
তিনি স্বাধীনতার স্বপক্ষে যথেষ্ট ভুমিকা পালন করেছেন। তিনি একজন কর্মি বান্ধব নেতা। তিনি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার পর চট্রলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনীতি অনুসরণ করতেন।
আজকে সময় এসেছে, একজন সময়ের সাহসী পুরুষ মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত রাজপথে আন্দোলনে লড়াকু যোদ্ধা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এর মতো আত্মপ্রতিবাদি নেতাকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়ার।
আমি তাঁকে স্বগত জানাচ্ছি – তিনি চট্টগ্রাম ১১ আসন থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়াতে।