জাতিসংঘের অ্যাওয়ার্ড পেলেন জাবি শিক্ষার্থী তুফান

রাজিব রায়হান,জাবি প্রতিনিধি: ইন্টারন্যাশনাল আর্ট কনটেস্ট ফর মাইনোরিটি আর্টিস্টস ওয়ার্কিং ওয়ান ইন্টারসেকশন্যালিটি থিমস (International Art Contest For Minority Artists Working on Intersectionality Themes)

প্রতিযোগিতায় জাতিসংঘ (UN) থেকে ‘International Recognition’ অ্যাওয়ার্ড পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী তরুণ আর্টিস্ট তুফান চাকমা৷ তিনি চারুকলা বিভাগের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তারিখে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্বশরীরে উপস্থিত থেকে এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহন করেন তুফান।

তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, “আমার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড এবং আমার নিজের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় আমি আজীবন ও সুইজারল্যান্ডের মত স্বপ্নীল এবং ব্যয়বহুল জায়গায় নিজের পা রাখতে পারতাম কিনা জানিনা, তবে ওখানে যাওয়াটা ছিল ছোটবেলা থেকে স্বপ্নের মত। আমার রয়েছে কাজ করার প্রত্যয়, দৃঢ় আত্মবিশ্বাস এবং স্বপ্ন দেখার সাহস।
এই সাহসের জের ধরেই এ বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে আমি ইন্টারন্যাশনাল আর্ট কনটেস্টের জন্য এপ্লাই করার সিদ্ধান্ত নিলাম। এই কনটেস্টের থিম ‘INTERSECTIONALITY’ এবং আমি এই থিমের উপর প্রচুর কাজ করেছি ইতিমধ্যে। আমি আমার কিছু কাজ বাছাই করে কনটেস্টের সাবমিট করলাম। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ মেইল পেলাম আর্ট সিলেকশন কমিটির কাছ থেকে এবং তারা জানান খুব শীঘ্রই ফাইনাল রেজাল্ট জানাবেন।

এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটা ধাপ শেষ করার পরে তারা আমাকে জানালেন, আমার কাজ ফাইনালি সিলেক্টেড ফর্ দ্যা অ্যাওয়ার্ড।

একইভাবে ৪ সেপ্টেম্বর আমার কাছে আরেকটা মেইল আসে যে, ২ নভেম্বর অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্বশরীরে উপস্থিত থাকার জন্য আমাকে নিমন্ত্রণ জানিয়ে এবং আমার যাবতীয় খরচ ওনারা বহন করবেন।”

এছাড়াও তিনি আরো বলেন, “সুইজারল্যান্ড গিয়ে ওখান থেকে বাংলাদেশে ফেরত আসা পর্যন্ত জীবনের সবচেয়ে নাটকীয়, ঘটনাবহুল এবং শিক্ষণীয় এক সময় কাটালাম। যারা আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, আমার এগিয়ে যাওয়ার গল্প যাদের অনুপ্রেরণা যোগায়, আমার কাজে যারা নিজেদের খুঁজে পান, যারা আমাকে শুরু থেকে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ‘চিদ্ দিঘোল্ হোজ্পানা’।”

উল্লেখ্য যে, এই প্রতিযোগিতায় ৩৫ টি দেশের ৮০ জন আর্টিস্ট অংশগ্রহণ করেন। সর্বশেষ যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্তভাবে ৪ জন আর্টিস্টকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। তারমধ্যে বাংলাদেশের তুফান চাকমা একজন। এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশে বসবাসরত আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার বাস্তবতা নিয়ে আঁকা কয়েকটি ছবি তুলে ধরেন তিনি।