Site icon Daily Dhaka Press

গাছ কেটে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

রাজিব রায়হান, জাবি প্রতিনিধি :গাছ কেটে  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ মানববন্ধন করেছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।

নির্মাণের জন্য গত ২০ থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে অর্ধশতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে নির্মাণাধীন ওই ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক (একাংশ) ও শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, “আমাদের দাবি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন মাস্টার প্ল্যানের আওতায় থাকবে।

কিন্তু এই প্রশাসন মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে নির্বিচারে গাছ কেটে ভবন নির্মাণে ব্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের ইকোলজিকাল ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয় গুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে নয়। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও সংস্কৃতিকে ঠিক রেখে উন্নয়ন হোক। কিন্তু আমরা এর বাস্তবায়ন দেখিনি। এখান থেকেই প্রমাণ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তার দায়িত্ব নিয়ে কতটা উদাসীন।”

মানববন্ধনে জাবি ছাত্র ফ্রন্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, “কিছুদিন আগে এই যে চোরের মতো গাছ কেটে, কাপুরুষতার পরিচয় দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ প্রকৃতি ও সাংস্কৃতিক,একাডেমিক পরিবেশকে ধ্বংস করে ফেলছে। আমরা দেখছি আইবিএ ও আইআইটি এর জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও আইআইটি তার ভবন নির্মাণ কাজ যথারীতিতেই চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আইআইটিকে যেন বড় করে দেখছে এবং মাথায় তুলে নাচছে। তদন্ত কমিটির সুষ্ঠু রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমরা কোন ধরনের ভবন নির্মাণ কাজ হতে দিতে চাইনা।”

তিনি আরও বলেন, “প্রশাসন ৫২ ব্যাচের ক্লাস সশরীরে নিতে পারছেনা। আবাসন নিশ্চিত করা সহ বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে তারা পাঁচ মাস অপেক্ষা করার পরেও এখন অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। অপরিকল্পিত ভবন ও হল নির্মাণ করেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের হলের সিট দিতে পারলনা।

এটা থেকেই বোঝা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শুধু কোটি কোটি টাকার প্রজেক্ট বাস্তবায়নের খেলায় নেমেছে কিন্তু প্রজেক্ট বাস্তবায়নের পরেও তা শিক্ষার্থীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে । এজন্য প্রশাসনকে সবার সামনে কান ধরে নিজেদের ব্যর্থতাকে স্বীকার করা উচিত।”

Exit mobile version