রাজিব রায়হান,জাবি প্রতিনিধি: ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’- এই স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী শুক্রবার (২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত) হবে “প্রজাপতি মেলা-২০২৩”।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বেলা ৪টায় মেলার আহবায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার আয়োজনে সারাদিন দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছরের মতো এবারের মেলায় থাকবে র্যালী, প্রজাপতির গল্পে পাপেট শো ও প্রজাপতির অরিগ্যামি প্যারেড, শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী, জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি ওড়ানো, বারোয়ারী বিতর্ক, প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন। বন্যপ্রাণী ও প্রজাপতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ‘বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ দেওয়া হবে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) এবং ‘বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুসিয়াস্ট-২০২৩’ এওয়ার্ড মোঃ জহির রায়হানকে (শিক্ষার্থী, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) প্রদান করা হবে বলে জানান অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন।
এছাড়াও এবারের প্রজাপতি মেলার ১৩তম আয়োজন উপলক্ষে, প্রজাপতি লার্ভা ও প্রজাপতি নির্ভর গাছপালার তথ্য চিত্র নিয়ে একটি প্যাম্পলেট প্রকাশিত হবে। যেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা প্রজাপতি এবং এ নির্ভর গাছপালা স্থান পাবে।
অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, “অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে প্রজাপতির সংখ্যা কমে গেছে এবং স্বাভাবিক বংশ বিস্তারে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। আগে জাহাঙ্গীরনগরে ১২০ প্রজাতির পাওয়া গেলেও বর্তমানে ৫২ প্রজাতির প্রজাপতি পাওয়া যায়। সারাদেশে যত প্রজাতির প্রজাপতি পাওয়া যায় তার এক-চতুর্থাংশ পাওয়া যেত এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তবে বিগত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিক পরিমানে গাছ ও ঝোপঝাড় কেটে ফেলার ফলে এখন তার পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমে গিয়েছে। প্রজাপতির এই বিলুপ্তি আটকাতে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর প্রজাপতি মেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।”
২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘প্রজাপতি মেলা’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রজাপতি সংরক্ষণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
এবারের মেলার টাইটেল স্পন্সর হয়েছে ‘কিউট’। সহযোগী সংগঠন হিসেবে থাকছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন ও আই ইউ সিএন (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার) ও আরণ্যক ফাউন্ডেশন। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে চ্যানেল আই।