নিজস্ব প্রতিবেদক, দূর্গাপুর, রাজশাহী: রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের সোনালী আমন ধান দোল খাচ্ছে মাঠ জুড়ে। আমন ধানের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। এরই মধ্যে ধান পাকতে শুরু করেছে।
এ বছর বন্যা-খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিকূলতা কাটিয়ে সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। চলছে ধান মাড়াই এর কাজ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ কৃষি মাঠে সোনালীর সমারোহ। দু’ চোখ যতদুর যায় ধানের ক্ষেতই চোখে পড়ছে। অনেক কৃষক মাঠে ধান গাছের পরিচর্যা করছে। কেউ কেউ সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার এবং পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষতি পোষাতে সচেষ্ট রয়েছেন। আবার অনেক কৃষক ক্ষেতের পাশে বসে বসে ধানের পাহারা দিচ্ছেন।
উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের কৃষক ওয়াজ নবী জানান, এবার জমিতে আমন ধানের ফসল অনেক ভাল হয়েছে। তবে জমি তৈরিতে অনেক পরিশ্রম করেছি, সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় পানির সংকট ছিল। সারের দামও এবার একটু বেশী ছিল। তারপরও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ফলন ভালো হওয়ায় খুব ভালো লাগছে। ধানের দামটা ভাল পেলে আরও খুশি হবো।
উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, এবার আমি প্রায় চার বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। এখনো কাটার উপযোগী হয়নি। তার মধ্যে এক বিঘা জমির ধান পেকে গেছে। ধানের যে পরিস্থিতি দেখছি যদি কোনো ধরনের দুর্যোগ না হয় তা হলে ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।
উপজেলার পানানগর ইউনিয়নের কৃষক আজগর আলী বলেন, আমি এবার প্রায় ৩ বিঘা জমিতে আমনের চাষ করেছি। বৃষ্টির কারণে রোপা আমন লাগাতে দেরি হওয়ায় চিন্তায় ছিলাম। জমিতে ধানের অবস্থা ভালো। আশা করছি এবারো ভালো ফলন হবে ইনশা আল্লাহ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ার পরও আমন আবাদে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে। যদি সঠিক সময়ে পানি পাওয়া যেত তাহলে আরো বেশি জমিতে চাষ করা সম্ভব ছিল। উপজেলা জুড়ে এবার আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৫৮৯ মেট্রিক টন।
জমিতে ধানের অবস্থা এখন খুব ভালো রয়েছে। শেষ পর্যন্ত যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তা হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা আরো ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী।