Daily Dhaka Press

বিএনপি-জামায়াত খুনি চক্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার   -তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো : দুঃখজনক হলেও সত্য গত ১৪ই জুন বিএনপি জামায়াতের মিছিল থেকে ম্যুরালগুলো ভাঙচুর করা হয়। তারা শুধু ম্যুরাল ভাঙচুর করেই খান্ত হয়নি, সে সময় তারা উল্লাসও করেছে। ম্যুরালগুলো ও চিত্রগুলো কি অপরাধ করেছে? এখন তারা গাড়ি পুড়াচ্ছে, মানুষের উপর আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ওদের ভয়ে বাচ্চারা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। এই বাচ্চারা কি অপরাধ করেছে? এরা দেশ, জাতি, সমাজ ও জনগণের শত্রু। ওরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়। সুতরাং বিএনপি জামায়াত খুনিচক্র ও দেশের জনগণের শত্রু ও অগ্নিসন্ত্রাসী এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার।

আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার সকালে চট্টগ্রামের জামালখান মোড়ে পুনরায স্থাপিত “বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ” শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ধ্বংস করে উল্লসিত হয়েছে। এরা যতদিন এভাবে ফনা তুলবে ততদিন দেশ ও দেশের জনগণ হুমকির মুখে থাকবে। আমাদের সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে, পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ আগুন সন্ত্রাস চালালে তাদেরকে যেমন ধরে দিবেন তেমনি কেউ পরিকল্পনা করলেও তাদেরকে ধরে দিবেন। তবেই এদের নির্মূল করা সম্ভব হবে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আরো বলেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হামলা চালিয়েছে, তাদের অনুকরণে জামায়াত-বিএনপি রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা চলিয়েছে। পাকিস্তান আমলে যখন আমরা পশ্চিমাদের অধীনে ছিলাম তখনও বহু মিছিল সেদিক দিয়ে গেছে-আসছে, কখনো প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালানো হয়নি। দীর্ঘ ৫২ বছরের ইতিহাসে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। তখনও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কখনো হামলা হয়নি। যারা কোরআন শরীফ পোড়ায়, মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায় তাদের সাথে কোন সংলাপ নয়। রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুন সন্ত্রাসীদের সাথে সংলাপ করা যায় না। বরং, তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

এসময় তিনি বলেন, জামালখান ওয়ার্ডে যেভাবে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হয়েছে তা যদি সব ওয়ার্ডে হতো তবে শহরটা অনেক সুন্দর হতো।

জামালখান ওয়ার্ডের কমিশনার শৈবাল দাশ সুমন এর সভাপতিত্বে উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক বক্তৃতা করেন।

Exit mobile version