Site icon Daily Dhaka Press

এ পর্যন্ত কতজন বন্দি-জিম্মিকে মুক্তি বিনিময় করলো ইসরায়েল-হামাস

অনলাইন ডেস্ক: সাত সপ্তাহের যুদ্ধের পর গাজায় শুক্রবার চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এর পর থেকে মোট ২৬ জন ইসরায়েলি নাগরিক, ৭৮ ফিলিস্তিনি, ১৪ থাই এবং একজন ফিলিপিনোকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। রবিবার আরেক দফায় বন্দি ও জিম্মি বিনিময় প্রত্যাশিত।

শুক্রবার ১৩ ইসরায়েলি শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিকে হামাস মুক্তি দেয়।

বিনিময়ে ইসরায়েল ৩৯ ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোর-কিশোরীকে মুক্তি দেয়, যার মধ্যে নাবালকও রয়েছে।
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে বলে হামাসের অভিযোগে চার দিনের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে বিনিময়টি কয়েক ঘণ্টার জন্য বিলম্বিত হয়। এরপর হামাস রবিবার ভোরে আরো ১৩ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেয়, যার মধ্যে ছয়জন নারী ও সাতজন নাবালক।

বিনিময়ে ইসরায়েল আবারও ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়, যার মধ্যে ছয়জন নারী ও ৩৩ জন নাবালক রয়েছে।

হামাস এই প্রক্রিয়া চলাকালীন ১৪ জন থাই ও একজন ফিলিপিনো নাগরিককেও মুক্তি দিয়েছে।

হামাস বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুর বিনিময়ে ৫০ জন নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়া হবে। অন্যদিকে ইসরায়েল বলেছে, প্রতিদিন আরো ১০ জন করে বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলে যুদ্ধবিরতি বাড়ানো যেতে পারে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৪০ জন হিম্মি হয়েছে। হামলার জবাবে ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যুদ্ধ শুরু করে। গাজায় নিরলস বিমান হামলা ও স্থল অভিযান শুরু করে। হামাস সরকার বলছে, যুদ্ধে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।
সূত্র : আলজাজিরা

Exit mobile version