নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বের ধনী ও উন্নত দেশের প্রায় এক ভাগ মানুষ যে পরিমাণ কার্বন নির্গমন করে সেই পরিমাণ কার্বন নির্গমন করে বিশ্বের প্রায় ৬৬ ভাগ মানুষ। বাংলাদেশ এই ৬৬ ভাগ কার্বন নির্গমনকারি দেশের কাতারে আছে। বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের ভেতর বাংলাদেশের কার্বন নির্গমন এর পরিমাণ মাত্র ০. ০৪ ভাগ। এত কম পরিমাণ কার্বন নির্গমন করেও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির ভেতর বসবাস করে। বাংলাদেশকে প্রায় কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এর ভেতর উপকূল, বরেন্দ্র ,চর ,পাহাড়, বনভূমি, গড় ,হাওর, জলাভূমি এবং নদী সমতল অঞ্চলে । জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগ ও বিপদ আপদে একইভাবে প্রভাব ফেলে না প্রতিটি অঞ্চলে । এবং প্রতিটি অঞ্চলের নানা পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের নানা রকমের অভিঘাত আসে। বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান দেশের উপকূল, বরেন্দ্র অঞ্চল, এবং নগরের জনগোষ্ঠীদের নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন জলবায়ু সম্মেলন ও নানাবিধ জলবায়ু ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেছে। দুবাইতে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনের ২৮ তম আসরে দেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের মানুষের দাবি ও সুপারিশ আলোচনা করার প্রস্তাব রেখেছেন সবাই । বাংলাদেশ থেকে সরকারি বেসরকারি ও গণমাধ্যমের যে সকল সম্মানিত প্রতিনিধি দুবাই য়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের কাছে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত জলবায়ু দাবি ও প্রস্তাবগুলো আমরা তুলে ধরছি । আশা করি আসন্ন দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে জন মানুষের এসব দাবি ও প্রস্তাব আলোচিত হবে এবং নিশ্চিত হবে ।