নিজস্ব সংবাদদাতা: ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন ও মাহমুদা বেগম কৃকের মনোয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
গত রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার যাচাই-বাছাইয়ে ওই দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর ঘোষণা অংশ ফাঁকা রাখায় আরিফুর রহমান দোলনের এবং হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় মাহমুদা বেগম কৃকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
তবে এ আসনে মোট সাত প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা আসে।
বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, দলীয় প্রার্থী, সাবেক এমপি মো. আব্দুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মো. আবু জাফর (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম থেকে), আকতারুজ্জামান খান (জাতীয় পার্টির); নুর ইসলাম শিকদার (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি); আব্দুর রউফ মোল্যা (জাকের পার্টি)।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন বলেন, “রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বার বার বলেছি, আমি কোনো তথ্য গোপন করিনি। ঋণ খেলাপি নই এবং সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রই সংযুক্ত করেছি। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঘরে আমি স্বাক্ষর করেছি। এক পার্সেন্ট ভোটারের যে স্বাক্ষর দিতে হয় সেটিও সঠিক আছে।
“আমি এখানে উপস্থিত, আমার স্বাক্ষর নিন, কিন্তু তিনি (রিটার্নিং কর্মকর্তা) আমাকে সে সুযোগ দেননি।”
আরিফুর রহমান বলেন, “আমি মনে করছি, এটি উদ্দেশ্যমূলক, নিঃসন্দেহে বিশেষ কাউকে সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা। আমি এই আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবো। বিশ্বাস করি, আমি আমার প্রার্থিতা ফেরত পাব।”
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী, কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম বেগম কৃক তার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে বলেন, “ছোট্ট একটা ভুল, হলফনামায় আমি স্বাক্ষর করিনি। আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করবো, আশা করি, প্রার্থিতা ফিরে পাব।”
তিনি আরো বলেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে যেটা হয়, দলীয় প্রার্থীরতো আলাদা একটা প্রভাব থাকেই। আমরা যারা নেতাকর্মী তারাতো স্রোতের বিপরীতে এসেছি, স্রোতের বিপরীতে থাকা মানুষগুলোকে টিকে থাকতে কষ্ট হয়। এই মানুষগুলোকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার কাছে অডিও রেকর্ডও আছে।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, “আরিফুর রহমান দোলনের মনোনয়নপত্রে মনোনিত প্রার্থীর ঘর ফাঁকা এবং স্বাক্ষর না থাকায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদা বেগম কৃকের মনোনয়নপত্রের হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় বাতিল করা হয়। তবে তাদের দুজনেরই আপিল করার সুযোগ রয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৬ প্রার্থী। সোমবার ফরিদপুর-৩ (সদর) ও ফরিদপুর-৪ আসনের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হবে।
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.