স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক দল ৯ দফায় ১৮ দিন অবরোধ আর তিনদিন হরতাল ডেকেছে।
কিন্তু অবরোধ ডেকে রাস্তায় না নেমে পালিয়ে থেকে ভাড়া করা লোকজন নিয়ে মানুষের গাড়িতে, যানবাহনে, মানুষের উপরে বোমা নিক্ষেপ করছে। পরিত্যক্ত গাড়িগুলোতে আগুন লাগাচ্ছে। এটা তো আসলে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না।
মঙ্গলবার ( ৫ ডিসেম্বর ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবিতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, হরতাল এবং অবরোধ ডেকে রাস্তায় নামা তাদের গণন্ত্রাতিক অধিকার। তারা তাদের সমাবেশ করতে পারে। আমরা আগেও দেখেছি ২০১৪ সালে এইরকমভাবে তারা রাস্তার মধ্যে বোম নিক্ষেপ করেছে। পুলিশের উপর তারা হামলা করার চেষ্টা করেছে। জনগণ কিন্তু তাদের এমন কর্মসূচীতে সারা দেয়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে।
আমরা নির্বাচন কমিশনের দিক নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি। পাশাপাশি আমাদের রুটিমাফিক কাজও করছি। যারা প্রতারণা করে, যারা ডাকাতি করে, যারা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি তালিকাভুক্ত আসামি তাদের গ্রেফতার এগুলো আমাদের রুটিন ওয়ার্ক।
পাশাপাশি জনগণের সরকারের সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব কিন্তু পুলিশের। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে, সম্পত্তি রক্ষা করতে আমরা পুলিশ বাহিনী, ডিবি পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাস্তায় থেকে রাতদিন ২৪ ঘন্টা কাজ করি।
আমাদের একটাই উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বাভাবিক যান চলাচলের কেউ যেন বাধা সৃষ্টি না করে। সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হবে কাজ করবে। তাদের সম্পত্তিগুলো রক্ষ করবে পুলিশ। কোন দুষ্কৃতকারী যেন কোন হামলা করতে না পারে।
ডিবি মহানগর প্রধান বলেন, আসলে যারা নয় বারে ১৮দিন অবরোধ আর তিনবার হরতাল ডেকেছে, মানুষ এটাকে মানছে না। মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে আসছে। তারা অবরোধ ডেকে ঘরে বসে ভাড়া করে লোক এনে বোতলের ভেতরে কেরোসিন দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে কোন কোন জায়গায় আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে।
এতে আমি মনে করি কিছু জায়গায় হয়তো আগুন লাগছে। দিনশেষে মানুষের মধ্যে এর কোন প্রভাব পড়ছে না বলেই মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলাচল করছে।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, আনুপাতিক হারে বাংলাদেশ একটি ঘনবসতি দেশ। ১৮ কোটির কাছাকাছি মানুষ। সেই তুলনায় যদি আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা আনুপাতিক হারে অনেক কম।
তারপরও প্রত্যেকটা পুলিশ সদস্য তারা রাতে দিনে ২৪ ঘন্টা পরিশ্রম করছে। আমাদের ওসি থেকে শুরু করে সিনিয়র কর্মকর্তাগণসহ যারা রয়েছে সার্বক্ষণিক কিন্তু তারা মাঠে থেকে, রাস্তায় থেকে সাধারণ মানুষের জানমাল সম্পত্তি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।
আমি মনে করি যে সকল দুষ্কৃতকারীরা তথাকথিত অবরোধের নামে মানুষের জানমালের উপরে ককটেল বিস্ফোরণের মতো নেক্কারজনক ঘটনা ঘটনানোর চেষ্টা করে। পরিত্যক্ত কিংবা একজনের একটি মাত্র সহায় সম্বলে, গাড়তে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাদেরকে অনেককে আমরা গ্রেফতার করেছি, অনেকে আদালতে ১৬৪ জবানবন্দী দিয়েছে। অনেকের নামও আমরা পেয়েছি তাদেরকে আমরা শীঘ্রই গ্রেফতার করবো।