চট্টগ্রাম ব্যুরো:
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন। শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও।
তাঁর প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট এবং অবিস্মরণীয় বিজয়। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় তাঁকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইতিহাস। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় বক্তারা একথা বলেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিল ও চট্টগ্রাম মহানগর সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের আয়োজনে আজ ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার বিকেলে নগরের পাহাড়তলী রেলওয়ে স্কুল সংলগ্ন সংগঠনের কার্যালয়ে সংগঠনের সহ সভাপতি মো. হাসান মুরাদের সভাপতিত্বে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিল এর সিনিয়র সহ সভাপতি ও কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নুর নাহার বেগম, চট্টগ্রাম মহানগর ভাড়াটিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ জনি।
সভায় বক্তারা বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অবদান ও ত্যাগ স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের পথ সুগম করে। তার সাহসী রাজনৈতিক দর্শন, চেতনা ও সংগ্রাম স্বাধীননতা আন্দোলনের নির্মল সূতিকাগার।
সভায় বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কালিম শেখ, চট্টগ্রাম মহানগর যুব লীগ নেতা আশিকুল ইসলাম আশিক, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক চর্চা শিশু কিশোর এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও নৃত্য প্রশিক্ষক মধু চৌধুরী, সংগীত শিল্পী শিউলি আকতার, মো. জয়নাল শেখ, আব্দুল খালেক, আব্দুল মান্নান রানা।