চট্টগ্রাম ব্যুরো : দুর্নীতি একটি সমাজের উন্নয়নে বাধা। আগামীর শিশুদেরকে একটি উপযুক্ত পরিবেশ দিতে এ দুর্নীতিকে দমন করতে হবে। কারণ আমরা তাদের যে পরিবেশে বড় করব সেটাই তাদের কাজে প্রতিফলিত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের চারটি উপাদান রয়েছে- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট গর্ভমেন্ট। এগুলোকে মাথায় রেখে কাজ করতে হবে, তবেই সুখী সমৃদ্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
আজ ৯ ডিসেম্বর শনিবার নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশন আয়োজিত ও মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম এসব কথা বলেন।
সভায় দুর্নীতি দমন কমিশন বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ মাহমুদ হাসান’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, ডিআইজি নুরেআলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এস. এম শফিউল্লাহ, মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী বক্তৃতা করেন। এসময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ অসংখ্য ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘ ২০০৩ সালে এই দিনকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ঘোষণা করে। এবার ২১তম আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়-উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ।
সকাল ৮.৩০টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি উদ্বোধন করা হয়। ফেস্টুন-বেলুন উড়ানোর পর বিভাগীয় কমিশনার দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসময় দুর্নীতিবিরোধী বাণী সম্বলিত ব্যানার নিয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও এনজিও কর্মকর্ত-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, দুর্নীতিমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন আমাদের মধ্যে রয়েছে, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, নাগরিক, অর্থনীতি ও সরকার এগুলোর সমন্বয় ঘটাতে পারলে সে স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হবে। দুর্নীতি কিন্তু এককভাবে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়। সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা যদি আমাদের নায্য অধিকারের বিষয়ে সচেতন হই, তাহলে এ দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় সাধারণ মানুষ, নারী ও শিশু। কারণ সমাজে তাদের প্রভাব কম থাকে। এখন দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যেমন ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে প্রদান। বিভিন্ন উপকারভোগীদের ভাতা নিজ নিজ মোবাইলে প্রদান করা হয়। এরফলে সাধারণ মানুষ দুর্নীতির প্রভাবথেকে রেহাই পাচ্ছে। আমি নতুন প্রজন্মকে বলব আপনারা আজকের প্রতিপাদ্য বিষয়- উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন।