নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে রেলের পোশাক পরা ব্যক্তিরাই আগুন দেয় বলে ধারণা করছেন আহত নুরুল হক ওরফে আব্দুল কাদের (৫৩)। অগ্নিকাণ্ডের আগে তারা ফায়ার এক্সটিংগুইশার নিয়ে বগির মধ্যে ঘোরাফেরা করছিলেন আর বিভিন্ন কথাবার্তা বলছিলেন বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন আহত নুরুল হক।
তিনি বলেন, ভোরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি রওনা করে। মহাখালী আসার আগে দুজন ব্যক্তি রেলের পোশাক পরিহিত অবস্থায় হাতে ফায়ার এক্সটিংগুইশার নিয়ে কথা বলাবলি করছিল।
যেহেতু ট্রেনটি চলন্ত অবস্থায় ছিল, সেজন্য তাদের ট্রেন থেকে নেমে চলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমার ধারণা, তারা আগুন লাগিয়ে পাশের বগি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আগুন দেখতে পেয়ে নাখালপাড়া এলাকায় ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হই।
তারা কীভাবে আগুন দিয়েছেন, গান পাউডার দিয়ে কি না— জানতে চাইলে আহত ব্যক্তি বলেন, আমি দেখতে পাইনি তারা গান পাউডার বা অন্য কিছু দিয়ে আগুন লাগিয়েছিল কি না।
নুরুল হক আরও বলেন, আমি গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে করে ঢাকায় আসছিলাম। ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় থাকি।
আহত নুরুল হক ওরফে আব্দুল কাদের হামিম গ্রুপের পরিবহন শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তার মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
উল্লেখ্য, নেত্রকোণা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে তেজগাঁও এলাকায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে নারী শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে দুজনের পরিচয় শনাক্ত হলেও বাকি দুজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি। পরিচয় শনাক্ত দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.