
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জর্ডানে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় মার্কিন তিন সেনা নিহতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চায় না বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।
তবে মার্কিন সেনাদের প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর জর্ডানে প্রাণঘাতী ড্রোন হামলার পরে যুক্তরাষ্ট্র তার সৈন্যদের রক্ষা করার জন্য ‘সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নেবে বলে সোমবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনও জোর দিয়ে বলেছে, তারা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চাইছে না।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। আমরা সামরিক উপায়ে (ইরানি) শাসকদের সঙ্গে সংঘাত চাই না।’
হামলাকারীদের হুঁশিয়ার করে তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা সংঘাত বাড়তে চাইছি না। সপ্তাহান্তে এই আক্রমণটি ছিল ক্রমবর্ধমান। তাই এটির একটি প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।’
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, সিরিয়া ও ইরাকি সীমান্তের কাছে জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে রবিবারের হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরাকভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স।
সংগঠনটি বলছে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে এই হামলা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হটানোও তাদের লক্ষ্য।
এ ব্যাপারে জন কিরবি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত যে ইরান সমর্থিত আঞ্চলিক মিলিশিয়া গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছিল। তবে তেহরানের দ্বারা কতটা আক্রমণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়।’
হামলার প্রতিক্রিয়ায় কিবরি বলেন, ‘এটি খুব গুরুতর আক্রমণ ছিল। আমরা প্রতিক্রিয়া জানাব। আমরা অবশ্যই যথাযথভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব। কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি না যে, সেই প্রতিক্রিয়ার ধরনটা কেমন হবে।’
প্রসঙ্গত, রবিবার স্থানীয় সময় সকালে জর্ডানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রান্তে সিরিয়া ও ইরাকের সীমান্ত সংলগ্ন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়।
অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওই অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর ওপর বহু হামলা হলেও এটিই প্রথম প্রাণঘাতী হামলা ছিল। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের বিরাজমান উত্তেজনা আরও গুরুতরভাবে বেড়ে গেছে।