
চট্টগ্রাম অফিস: চট্টগ্রাম নগর ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইটভাটার জন্য মাটি সংগ্রহ, অট্রালিকা তৈরি ও বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে সাবাড় করছে পাহাড় খেকো ও ভূমি দস্যুরা। এমনকি চট্টগ্রাম নগরের আসকার দীঘির পূর্ব পাড়ে
ইস্পাহানি পাহাড়ের বিপরীতে একটি সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী মহল টিনের ঘেরাও দিয়ে দীর্ঘদিন যাবদ পাহাড় কাটছে প্রকাশ্যে দিবালোকে।
পাহাড় কাটা নিয়ে সংবাদপত্রে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও এবং মহামান্য হাইকোর্টের পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশনা থাকার পরও প্রভাবশালীরা পাহাড় কাটছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দিনে পাহাড় কাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও প্রশাসনের চোখে ধূলা দিয়ে পাহাড় খেকোরা পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে।
চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের উপজেলাতে জরুরি ভিত্তিতে পাহাড় কাটা বন্ধ, নদী দখল ও পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে চট্টগ্রামের পরিবেশ সংগঠন এ্যাডভিশন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গতকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল চারটায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে এক স্মারকলিপি প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) মো : আব্দুল মালেক।
এ্যাড ভিশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও পরিবেশবিদ মো : মাসুদ রানার নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মো কামাল উদ্দিন, সংগঠনের কর্মকর্তা স ম জিয়াউর রহমান, ইন্জিনিয়ার মোহাম্মদ এমরান, লিটু সূত্র ধর, জেবিএস আনন্দ বোধি ভিক্ষু, মোহাম্মদ নূর, লাভলি ডিও, শারমিন আকতার, খুশি নিরব, তাজিন সুলতানা মিম, মো হাসান মুরাদ, মোহাম্মদ ইউসুফ।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) মো আব্দুল মালেক বলেন, চট্টগ্রাম পাহাড়, নদী ও সমুদ্র বেষ্টিত অপরুপ সৌন্দর্যনগরী।
বিশ্বে আর কোথাও নেই এরকম অপরুপ লীলাভূমি। চট্টগ্রামের অপরুপ প্রাকৃতিক নিদর্শন স্বরুপপাহাড়গুলো কিছু অসাধু পাহাড় খেকোরা পাহাড় কেটে সাবাড় করছে প্রতিনিয়ত, এটা খুবই দুঃখজনক।
পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও প্রকৃতি রক্ষার দাবিতে এ্যাড ভিশন বাংলাদেশের দাবি সময়োপযোগী বলে আখ্যায়িত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব)। তিনি স্মারকলিপিটি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করে দ্রুত ব্যবস্হা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এসময় নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, প্রশাসন আন্তরিকভাবে ব্যবস্হা নিলে চট্টগ্রামের পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ড দ্রুত বন্ধ করা সম্ভব হবে।
নেতৃবৃন্দরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জেলা প্রশাসক স্মার্ট চট্টগ্রাম গড়তে নিরলস ভাবে কাজ করছেন।
কিছু কুচক্রী মহল সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে এসব কর্মকান্ড করছে। এসব পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ড দ্রুত বন্ধ করতে হবে এবং পরিবেশ খেকোদের আইনের আওতায় আনতে হবে।