
বারহাট্টা(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ আমরা কুরআনের পক্ষে থাকতে চাই, প্রয়োজনে জীবন দিতে চাই।কুরআন আমাদের সিনায় আছে। আমরা মানুষকে বলি নাই বাড়িঘর ভাঙ্গচুর করুক।এটা জনতার আবেগে হয়ে গেছে।আমরা এটার সমাধান চাই।কোন অবস্থাতেই কুরআনের অবমাননা মেনে নেওয়া হবে না। কুরআনের ইজ্জতের জন্য পুরো পৃথিবী ধ্বংস করতে হলেও আমি রাজি আছি।আমরা আন্তর্জাতিক মাঠের প্লেয়ার আঞ্চলিক মাঠে আইনেন না। আমরা খেলি মোদির সাথে,হাসিনার সাথে। এখনও যদি কুরআনের অবমাননা হয় তাহলে বর্তমান সরকারের পরিণতিও হবে হাসিনার মতই।যদি হাসিনার মত করুন পরিণতি না চান সবাই যার যার মত শুধরে যান।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চন্দ্রপুর বাজারে কুরআন অবমাননা করায় দুই দফা দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রফিকুল ইসলাম মাদানি।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী,মুফতি রিজওয়ান রফিকী,মুফতি আরিফ জাব্বার কাসেমী,মুফতি সালমান ফারসী,মুফতি আনিছুর রহমান সহ প্রমুখ।
রফিকুল ইসলাম মাদানী আরও বলেন, যদি দ্রুত তৌহিদী জনতার নামে হওয়া মামলা তুলে না নেওয়া হয়। তাহলে নেত্রকোনা অচল করে দেওয়া হবে।যদি একজনকেও গ্রেফতার করা হয় তাহলে আরো কঠিন হব আমরা।দয়া করে যারা হয়রানি মূলক মামলা করেছেন তারা মামলা তুলে নেন।বসে আলোচনা করে সমাধান করেন।তওবা করে ভুল স্বীকার করেন।বাড়াবাড়ি করবেন না।যে পদক্ষেপ নিবেন যত লড়বেন পয়েন্ট তত বাড়বে।পয়েন্ট বাড়াবেন না।
এসময় তিনি কুরআন অবমাননার ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশে শরিক হওয়ার জন্য এবং ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকল পর্যায়ের ধর্মপ্রাণ মানুষকে আহব্বান জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে মুফতি খায়ের কাসেমী বলেন পবিত্র কুরআন পুড়িয়ে মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করা হয়েছে। তাই এই অপকর্মের জন্য অপরাধীদের ফাঁসি দিতে হবে।প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তাদের কোন নিস্তার নাই।এসময় তিনি ৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশের শেষ দিকে রফিকুল ইসলাম মাদানী কুরআন অবমাননাকারীদের হেদায়েত চেয়ে দোয়া করে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষ করেন।