
রাজিবুল হক সিদ্দিকী, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: গত ১০ দিন ধরে কিশোরগঞ্জ জেলায় ঘন কুয়াশার
কারণে বোরো বীজতলার চারা সবুজ থেকে ক্রমশই হলদে রংসহ শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম
হয়েছে। এরই মধ্যে বীজতলা রক্ষায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষক। সাম্প্রতিক বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
কৃষকদের স্বপ্নের এই চারা বাঁচাতে নানানভাবে চেষ্টা করছেন তারা। এসব বীজতলা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে বীজতলা রক্ষায় পলিথিনে ঢেকে দিচ্ছে কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শেও কৃষকেরা বীজতলা রক্ষা করতে পারছেন না।
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় জেলার করিমগঞ্জ, ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, তাড়াইল, নিকলী ও বাজিতপুর উপজেলায় বোরো ধানের বীজতলাগুলো কোল্ড ইনজুরিতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। কারণ গত ১০ দিন যাবত বিস্তৃর্ণ হাওর ও কুয়াশার কারণে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ না দেখার
কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
গত কয়েকদিনের তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে তাদের বোরো ধানের চারা হলুদ ও লাল বর্ণের হয়ে গোড়ায় পচন ধরে গাছ মরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও বীজ পচাসহ ছত্রাক রোধ করা যাচ্ছে না।
তাই কৃষি অফিসের পরামর্শে বীজতলায় বাড়তি পানি দিয়েও তেমন কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুস সাত্তার জানান, ঘন কুয়াশায় কৃষকদের বীজতলা যাতে নষ্ট না হয় এ জন্য কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।
০১৬৮৬-৩৮৪৯৬৮