
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার কুশাবো এলাকায় বিপিএল হাউজিং লিমিটেডের কেনা জমিতে নৌবাহিনীর লোগো সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সিটিমেড পূর্বাচল ভ্যালির বিরুদ্ধে।
ফলে ‘সিটিমেড পূর্বাচল ভ্যালী’ থেকে জমি ক্রয়ে সতর্কতা অবলম্বন এবং বিপিএল হাউজিং লিমিটেডের কেনা জমির উপর থেকে অবৈধভাবে ঝুলানো সাইনবোর্ড অপসারণ জন্য সরকারি এই সংস্থাটির প্রধানের বরাবর একটা লিখিত আবেদন করেছে অভিযোগকারী বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি।
বিপিএল হাউজিং লিমিটেড (বায়োফার্মা ও বায়োগ্রুপ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা, লকিয়ত উল্যা সাক্ষরিত এক অফিসপ্যাডে এমনই অভিযোগের তথ্য জানানো হয়।
সেই সঙ্গে এই দখল চেষ্টার ফলে প্লট মালিক ডাক্তার ও পেশাজীবিদের মাধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে বলেও জানানো হয়।
নৌবাহিনীর প্রধানের বরাবর লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, দেশের শীর্ষস্থানীয় ঔষধ কোম্পানি গুলোর মধ্যে বায়োফার্মা ঐতিহ্যবাহী একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান যার মালিক হচ্ছেন প্রায় ৪৫০০ স্বনামধন্য চিকিৎসক ও ১৫০ জনের অধিক অবসরপ্রাপ্ত সরকারী, আধাসরকারী, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, আইনজীবি, সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং বিভিন্ন পেশাজীবি ব্যক্তিরা। রপ্তানিমুখী এ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি ঔষধ রপ্তানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখার কারণে সর্ব মহলে এ কোম্পানির গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেড়েছে।
বর্ধনমুখী এ শিল্প প্রতিষ্ঠানের যে কয়টি সহযোগি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে বিপিএল হাউজিং লিমিটেড অন্যতম।
বিপিএল হাউজিং ২০১০ সাল থেকে ব্যবসা শুরু করে এবং এ পর্যন্ত বায়োফার্মা ও বিপিএল হাউজিং, ১২৪ বিঘা জমি ক্রয় করে।
এর মধ্যে বিপিএল হাউজিং ৯৪ বিঘা জমি ক্রয় করে প্রায় ৩৫০ জন গ্রাহকের মধ্যে প্লট বিক্রি করে। যাদের অধিকাংশই চিকিৎসক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী, আধাসরকারী, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, আইনজীবি, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবি ব্যক্তিবর্গ।
আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে, স্বল্প সময়ে বিপিএল হাউজিং এ দেশের স্বনামধন্য পেশাজীবিদের কাছে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক প্রথিতযশা ডাক্তার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অত্র এলাকায় ঘর বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এছাড়া বায়োফার্মা এখানে একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। কোম্পানিও বসবাসের উপযোগী করার জন্য রাস্তা ঘাট নিমার্ণে কাজ করছে।
লিখিত আবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম, বাংলাদেশ নৌবাহিনী অত্র এলাকায় নেভাল অফিসারদের জন্য ১০০০ প্লট ক্রয় করার জন্য সিটিমেড পূর্বাচল ভ্যালীর সাথে চুক্তি করছে।
এ সুযোগে ব্রোকার ও নাম সর্বস্ব একজন জমি ব্যবসায়ী আমাদের বিপিএল হাউজিং এবং স্থানীয়দের ক্রয়কৃত জায়গায় সংরক্ষিত এলাকা নেভাল অফির্সাস হাউজিং স্কীম নামে আপনাদের (নৌবাহিনীর) লোগো ব্যবহার করে অনেকগুলো সাইনবোর্ড (আনুমানিক ২৫টি) বুলিয়ে দিয়েছে।
সিটিমেড পূর্বাচল ভ্যালী নামে সাইনবোর্ড সর্বস্ব এ কোম্পানি বিক্রেতা সেজে নৌবাহিনীর মত দেশ প্রেমিক সুশৃঙ্খল বাহিনীর কাছে অন্যের জমি বিক্রির ষড়যন্ত্র করছে এবং প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে।
এ ভাবে সাইনবোর্ড লাগিয়ে অহেতুক ঝামেলা সৃষ্টি করে জনমনে এই বিশিষ্ট বাহিনীর ব্যাপারে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিচ্ছে এবং আমাদের প্লট হোল্ডারদের মধ্যে উদ্বেবেগ তৈরী করছে। স্বনামধন্য নৌবাহিনীকে মানুষ ভুল বুঝতে যাচ্ছে এবং দেশের একটি সুসজ্জিত বাহিনীর সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
চড়া দামে জমি বিক্রি করে নৌবাহনীকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার চেষ্টা করছে বলে এলাকাবাসী দৃঢ় ভাবে মনে করে। আমরা যতটুকু জানি, নেভাল অফিসারদের জন্য প্লট কেনার পরিকল্পনা মেইন রোড থেকে ১.৫০ কি.মি. ভেতরে। অথচ সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে বিপিএল হাউজিং এর জায়গায় ও মেইন রোড সংয় বিভিন্ন স্পষ্টে।
বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সাথে সাথে আপনাকে জানানোর প্রয়োজবোধ করছি। বিপিএল হাউজিং স্বনামধন্য সুপ্রতিষ্ঠিত একটি কোম্পানি। গ্রাহকদের যথা সময়ে তাদের প্লট বুঝিয়ে দিতে কোম্পানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিপিএল হাউজিং এর জায়গার উপর সিটিমেড পূর্বাচল ভ্যালীর মাধ্যমে নৌবাহিনী লোগো সম্বলিত সংরক্ষিত এলাকা, নেভাল অফিসার্স হাউজিং স্কিম নামে সাইনবোর্ড ঝুলানো অহেতুক বাড়তি ঝামেলা ছাড়া আর কিছু নয়। নৌবাহিনীর সাথে কেনা জমি নিয়ে মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়া বিপিএল হাউজিং কোন ক্রমেই প্রস্তুত নয়। ‘আমাদের পরিচালনা পর্ষদ ‘এ অহেতুক ঝামেলা সমর্থন করে না।
অতএব, অত্র এলাকায় এ সব সাইনবোর্ড সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে জমি কেনার আগে এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে স্থানীয় জনগনের সাথে আলাপ আলোচনা ও কাগজ পত্র যথাযথভাবে যাচাই বাছাই পূর্বক প্রয়োজবোধে বিপিএল হাউজিং এর সাথে আলোচনা ও যোগাযোগ করার সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি। একই সাথে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে অন্যের রেজিষ্ট্রিকৃত জমি কেনা থেকে বিরত থাকার বিনীত ভাবে পরামর্শ দিচ্ছি।
এ প্রতারক গোষ্ঠি দেশ প্রেমিক নৌবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার নিমিত্তে উঠে পড়ে লেগেছে বলেও আবেদন পত্রে বলা হয়।