ডিডিপি ডেস্ক: দেশে নানা আয়োজনে উদযাপিত হয় বৈশাখী উৎসব। বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে থাকে নানা আয়োজন। তবে সেই উৎসব কখনো কখনো দেশ ছাড়িয়ে উদযাপিত হয় বিদেশে। অষ্ট্রেলিয়াতে প্রতি বছর বৈশাখী উৎসব উদযাপিত হয়ে বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে । এবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে বাঙ্গালীর প্রাণের বৈশাখী মেলা ।
তাবু সঞ্জয়ের সর্বিক পরিচালনায় এবং ওমেন কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া সহযোগিতায় গত ২১ এপ্রিল অষ্ট্রেলিয়ার সিডনির ওয়ালি পার্কে এই বৈশাখী মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। মেলাটির পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল ড্রিম কী রিয়েলিটি। মেলায় দেশি-বিদেশি প্রায় ১০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। মেলায় ২০টির বেশি কাপড়ের দোকান, ১৫টির বেশি বাহারি দেশীয় খাবারের দোকান সহ ছিল বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইডের সুবিধা। এছাড়া মেলা সারাদিন ব্যাপী ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জনপ্রিয় কৃষ্টি ব্র্যান্ড, লাল সবুজসহ অন্যান্য সংগীত ও নৃত্য শিল্পীরদের অংশগ্রহণে মেলা হয়ে উঠেছিল প্রানবন্তকর।
মেলায় আসা প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, বিদেশের মাটিতে বৈশাখের এমন আয়োজন সত্যিই মুগ্ধকর। দেশের বাহিরে থেকে সংস্কৃতির সাথে থাকা। আয়োজকরা বিদেশের মাটিতে বাংলার সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলেছে, যা এক দারুণ উদ্যোগ। এতে করে বিদেশে থাকা বর্তমান প্রজন্ম শিকড়কে জানতে পারবে।
আয়োজকরা জানান, প্রতি বছর বৈশাখ মাসে এমন আয়োজন করে থাকি। আমরা চেষ্টা করি অস্ট্রেলিয়ায় বাস করা মানুষদের মাঝে দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে। অষ্ট্রেলিয়া তো বটেই সম্ভবত বিদেশের মাটিতে সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলা এটাই। আগামী ২০২৫ সালের ১২ই এপ্রিলেও আবার আমরা গাংচিল মিউজিকের ব্যনারে এই মেলাটি আয়োজন করতে যাচ্ছি।
অষ্ট্রেলিয়ায় বৈশাখী এই মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অষ্ট্রেলিয়ার সংসদ সদস্য টনি বার্ক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মার্ক কোরে, অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ওয়েন্ডি লিন্ডসে ও কাউন্সিলর রাচেল হারিকা সহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ