জীবনশৈলী: দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার পোশাক নিয়ে খুব বেশি হইচই থাকে না। কারণ এই ঈদ হলো কোরবানির। প্রিয় পশুকে কোরবানির মাধ্যমে ঈদ পালন করা হয়। কিন্তু ঈদ উৎসব বলে কথা। ঈদ মানেই নতুন পোশাক। ঈদুল ফিতরের প্রধান আনন্দ থাকে নতুন পোশাকে। আর ঈদুল আজহার আনন্দ হচ্ছে প্রিয় পশুর কোরবানি।
তবে একটি-দু’টি নতুন পোশাকের জন্য তো মন কেমন করতেই পারে! নতুন পোশাককে তো আর বাদ দেওয়া যাবে না। নতুন পোশাক ঈদ উৎসবের আনন্দকে আরও জাঁকজমকপূর্ণ করে তোলে। তাই ঈদকে আরও পরিপূর্ণ করতে ঈদ ফ্যাশনের পালে লেগেছে হাওয়া। শুরু হয়েছে ঈদ কেনাকাটা। এবার গরমও বেশ। তাই ঈদ ফ্যাশনে যুক্ত হবে আরামদায়ক পোশাক। প্রতিবছর ঈদকে ঘিরে পোশাকে তৈরি হয় নতুন নতুন ধারা।
এছাড়া আবহাওয়ার সঙ্গে মিল রেখে পোশাকের কাপড় আরামদায়ক করার প্রতি থাকে বাড়তি মনোযোগ। নানা রকম পোশাকের সঙ্গে ঈদের পোশাকে চাই নতুনত্বও। ঈদের দিন থেকে শুরু করে সপ্তাহখানেক চলে এই আমেজ। তবে গরমে পোশাকের ক্ষেত্রে কাপড়ের দিকে নজর রাখা জরুরি।
এসময় সবচেয়ে মানানসই হলো সুতির কাপড়। এতে গরম কম লাগবে, সেইসঙ্গে পাবেন আরামও। এতে সারাদিনের ঘোরাফেরায় মোটেই অস্বস্তি লাগবে না। পাতলা তাঁত ও খাদি কাপড়ের পোশাকও এসময় আরামদায়ক। সুতি কাপড়ের পাশাপাশি লিনেন, ধুপিয়ান, ভয়েল, মসলিন, চিকেন ও তাতের কাপড় গরমের জন্য উপযোগী। যেহেতু উৎসব তাই এর আমেজও ধরে রাখতে হবে।
সেক্ষেত্রে পরতে পারেন কৃত্রিম মসলিন বা পাতলা চোষা কাতান। সাধারণত দেখা যায় তরুণ-তরুণীরা বেশ ফ্যাশন সচেতন হন। বাজারে কখন কি ডিজাইনের পোশাক আসলো তাই নিয়ে তাদের আগ্রহ থাকে সবার থেকে বেশি। ঈদের বাজার ঘুরে তাই দেখা যায়, তাদের উদ্দেশ্যেই সাজানো পোশাকের সমাহার বেশি। এবার ঈদে অধিকাংশ ফ্যাশন হাউজ নিজস্ব থিম অনুযায়ী পোশাকে ডিজাইন ও রঙ ব্যবহার করেছে। তবে যেহেতু গরম তাই প্রতিটি ফ্যাশন হাউজ পোশাকে আরামের দিকটি বিবেচনা করেছে।
এজন্য সুতি, লিনেন, সিল্ক ইত্যাদি আরামদায়ক কাপড়ের প্রাধান্য বেশি। এবারের ঈদ আনন্দ সময়োপযোগী নান্দনিক সব শার্ট, টি-শার্ট ও প্যান্টে সেজে উঠছে ছেলেদের ঈদ বাজার। অন্যদিকে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের পাশাপাশি এবার তরুণীরা পাশ্চাত্য ঢংয়ের পোশাক বেশ পছন্দ করছেন।
গত কয়েক বছরের ফ্যাশনের দিকে তাকালে বোঝা যায়, পোশাকের চেয়ে বেশি পরিবর্তন এসেছে অলঙ্করণের নানা উপাদানে। ব্যক্তির জীবনে, ব্যবহারে, রুচিতে, আচরণে, স্বভাবে পোশাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সবকিছু মিলেমিশে পালন করা হোক ঈদ উৎসব। সবার হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়ুক ঈদের আনন্দ।