আনন্দআলো ডেস্ক : গ্রামে কূকীতি, পারিবারিক অশান্তি, বার বার মেট্রিক ফেল ও প্রেমে ব্যর্থতার কারণে কুতুব আর বাঁচতে চায়না। গভীর রাতে গলায় আত¥হত্যার দড়ি। আবুল চাচা দেখে ফেলায় রক্ষা। আত¥হত্যা করতে গিয়েও যখন কুতুব ব্যর্থ তখন সে ওখান থেকেই ঢাকার উদ্দেশ্যে।
গাড়ি থেকে নেমেই কুতুব ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে। মিডিয়া জগতের এক সম্পাদক তাকে রক্ষা করেন। একমাত্র মেয়ে আলোর চাপাচাপিতে সম্পাদক তাকে বাড়িতে নিয়ে গাড়ি ধোয়ামোছার কাজ দেন। ভালো পরিবেশ পেয়ে কুতুবের স্বপ্ন একে একে পূরণ হতে থাকে।
প্রথম ধাপেই সে লেখাপড়ায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আলো তার প্রেমে পড়ে যায়। এক পর্যায়ে তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। সম্পাদক মারা যাওয়ার পর তাকেই সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহন করতে হয়। কিন্তু সেসময় মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে চরম অসন্তোষ চলছিল। অল্প সময়ে তিনি তা সামাল দিতে সক্ষম হন। ফলে পাঠক থেকে হারিয়ে যাওয়া পত্রিকাটি আবার পাঠকপ্রিয় উঠে।
এদিকে গোপনে তার অর্থায়নে আবুল চাচার মাধ্যমে গ্রামে নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই কুসংস্কারপূর্ণ গ্রামটি আলোর পথ খুঁজে পায়। দীঘ ৩০ বছর পর কুতুব আলী তার গড়া স্কুলে’র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার মুহূর্তে বাবা-ছেলে মুখোমুখি হয়। এমন সময় তাদের মধ্যে ঘটে এক হূদয় বিদারক ঘটনা। এসব গল্প নিয়েই টেলিফিল্ম। নাম অন্ধকারে আলো’।
রচনা ও প্রযোজনা- মীর লিয়াকত আলী। পরিচালনায় রয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা-আনোয়ার সিরাজী। পরিবেশনায়-আকাশজমিন মাল্টিমিডিয়া। চিত্রগ্রহনে-এস এম পান্না।
গল্পের মূল চরিত্রে, রাকিব ও মুসকান ইসলাম। পার্শ্ব চরিত্রে রয়েছেন, ফরহাদ, রেবেকা, আনোয়ার সিরাজী, ববি, রেজা হাসমত, অলকা সরকার, তানহা, নিথিলাসহ আরো অনেকে। শনিবার শূটিং উদ্বোধন করা হলো ধানমন্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। এসময় মীর লিয়াকত আলী ও পরিচালক আনোয়ার সিরাজী গল্পের সার সংক্ষেপে তুলে ধরেন।