Site icon Daily Dhaka Press

বাংলাদেশের ৪ শিল্পী আমেরিকান কারি এওয়ার্ডের থিম সং এ

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রথমবারের মতো নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আমেরিকান কারি এওয়ার্ড ২০২৫। এর আগে ব্রিটিশ কারি এওয়ার্ড মূলত পৃথিবীর রন্ধন শিল্পীদের অন্যতম প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত। তবে এই প্রথম বাঙালিদের উদ্যোগে বিশ্বমানের এমন একটি ইভেন্ট হতে যাচ্ছে আমেরিকায়। ইভেন্টের ফাইনাল রাউন্ড ২৪ মে নিউইয়র্কের ‘ট্যারেস অন দ্যা পার্ক ’ নামের একটি প্রসিদ্ধ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
নিউইয়র্কের প্রখ্যাত শেফ বা রন্ধনশিল্পী মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের উদ্যোগে এই আয়োজন। যৌথ আয়োজক হিসেবে রয়েছে আশা গ্রুপ। আন্তর্জাতিক মানের এই ইভেন্টের থিম সং নির্মান করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীত পরিচালক তানভীর তারেক। তানভীর তারেক এর সুরে আসিফ ইকবালের কথায় এটিতে কন্ঠ দিলেন পপ তারকা মেহরীন ও তরুন কন্ঠশিল্পী মার্সেল। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন মার্সেল। এর বাইরে গানটির কোরাস পর্বে নিউইয়র্কের স্থানীয় ক’জন শিল্পীরা কন্ঠ দেবেন।
আয়োজন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন,‘আমেরিকান কারি এওয়ার্ড আমার দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন। গত কয়েকবছর ধরেই এর পরিকল্পনা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। রন্ধনশিল্পে আমি বিশ্বের প্রায় সকল সম্মাননায় পেয়েছি। তাই আমি চেয়েছি আমেরিকান কারি এওয়ার্ড হোক নতুন স্বপ্ন উন্মোচনের দ্বার। একারণেই কারি এওয়ার্ডের পরিকল্পনা। তানভীর ভাই একাধিক ইভেন্টের থিম সং নির্মান করে প্রশংসিত হয়েছেন। এই প্রজেক্টের গানটিও দর্শক শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।’
গানটির গীতিকবি আসিফ ইকবাল বলেন,‘আমেরিকান কারি এওয়ার্ড বিষয়টির ব্যপ্তিই বিশাল। আমি তখন একটি সার্জারি শেষ করে হাসপাতালে। তানভীর ফোন করে বললো, ‘আপনাকেই লিখতে হবে। এরকম দাবি করে বসলে এভয়েড করা মুশকিল। পুরো বিষয়টি জেনে লেখা শুরু করলাম। শুভ কামনা জানাচ্ছি পুরো আয়োজনের জন্য।’
গানটির সুরকার ও এরেঞ্জার তানভীর তারেক বলেন,‘প্রতিটি ইভেন্টেরই একেকটি স্বকীয় বৈশিষ্ট্য থাকে। এর আগে একাধিক মেগাসিরিজ, কর্পোরেট ইভেন্টের থিম ট্র্যাক ও টিভি চ্যানেলের থিমসং নির্মান করেছি। তবে এবারের কাজটি একেবারেই ভিন্ন। রন্ধন শিল্পীদের নিয়ে এই বিশাল আয়োজনের শিরোনাম সঙ্গীত নির্মানের ক্ষেত্রে দেশের বরেণ্য গীতিকবি আসিফ ইকবাল ভাই ও আমি বেশ কিছুদিন টানা আলোচনা করি। আসিফ ভাই তখন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে, সেই অবস্থাতেই তিনি আমার সাথে টানা কয়দিন আলাপ করে গানটি লিখেছেন। আমি সুর দেবার পর মার্সেল এটির কম্পোজিশন ও কন্ঠ দেয়। এবং ফিমেল ভার্সনে থাকেন মেহরীন। গানটি একই সাথে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে তৈরি। মিউজিক ট্র্যাকটি আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে দেবার তাগিদেই এভাবে তৈরি করা হয়েছে। একটি থিম ট্র্যাক পুরো ইভেন্টের সিগনেচার হিসেবে কাজ করে। সেভাবেই বিষয়টি সাজাবার পরিকল্পনা করেছি।’
কন্ঠশিল্পী মেহরীন বলেন,‘দীর্ঘদিন পর নতুন কোনো ট্র্যাকে কন্ঠ দিলাম। সেটিও এরকম একটি কাজ। অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। তানভীর তারেকের সাথে এর আগেও কাজ হয়েছে। আমি তার সুর সঙ্গীতে এর আগে একটি কালচারাল এওয়ার্ড ইভেন্টের থিম সং এ কন্ঠ দিয়েছিলাম। দীর্ঘ অনেকগুলো বছর পর এবারে ভিন্ন মাত্রার একটি এওয়ার্ড ইভেন্টে গানে কাজ করলাম। আশা রাখি সবার ভালো লাগবে।’
তরুন কন্ঠশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক মার্সেল বলেন,‘তানভীর ভাইয়ের সাথে গত ১ বছর ধরে একাধিক কাজ করেছি। খুবই ভাল অভিজ্ঞতা। আমি চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চটুকু দেবার।

Exit mobile version