
প্রথমার্ধেই একতরফা আধিপত্য, আর দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক গোল—সব মিলিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯-১ গোলের জয়ে টুর্নামেন্টে দারুণ সূচনা করল বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে হ্যাটট্রিক করেন ফরোয়ার্ড সাগরিকা। জোড়া গোল করেন মুনকি আক্তার। একটি করে গোল করেন স্বপ্না রানি, শিখা, রুপা আক্তার ও শান্তি মার্জী। গোলের সংখ্যাই বলছে, লঙ্কানদের রক্ষণের ভেতর দিয়ে কেবল ঝড় বয়ে যায়নি—পুরো মাঠ জুড়েই ছিল বাংলাদেশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।
ম্যাচের শুরুতেই দারুণ চমক। প্রথম মিনিটেই ডি-বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। বলের সামনে দাঁড়ান স্বপ্না রানি। নিখুঁত বাঁকানো শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন তিনি। দর্শকরা তখনো আসনে বসতে না বসতেই গোল!
এরপর যেন বাঁধ ভাঙে। চতুর্থ মিনিটেই মুনকি আক্তার বল নিয়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে একক দৌড়ে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশ গোল করে তিনটি—সাগরিকার পা থেকে আসে তৃতীয় গোল (৩৭তম মিনিটে)। যদিও ৩৯তম মিনিটে অফসাইডে বাতিল হয় আরেকটি গোল। তবে তাতে কোনো ক্ষতি হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে বাংলাদেশ হয়ে ওঠে আরও বিধ্বংসী।
৪৭ থেকে ৫৮ মিনিট—এই সময়ের মধ্যেই নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাগরিকা। এক গোল করেন শিখা, আরেকটি মুনকি আক্তার। এক পর্যায়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৭-০।
শেষদিকে কনার থেকে পাওয়া সুযোগে রুপা আক্তার দলের হয়ে অষ্টম গোলটি করে দেন (৮৫তম মিনিটে)। ৯০ তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় গোল করে ব্যবধান কমায় শ্রীলংকা। অতিরিক্ত সময় আরো একটি গোল করে বাংলাদেশ। ব্যবধান হয় ৯-১।
এই জয় শুধু বড় ব্যবধানের নয়, বার্তাটাও বড়। ভারত না থাকায় এবারের আসর যেন বাংলাদেশের জন্য সোনার সুযোগ। পিটার বাটলার।
ডাবল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতিটি দলের সঙ্গে দুইবার করে খেলতে হবে। তাই প্রতিটি ম্যাচই যেন ফাইনালের সমান। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেভাবে খেলেছে বাংলাদেশ, তাতে সমর্থকদের মনে স্বপ্ন দেখা একেবারেই যুক্তিযুক্ত।