
রিফাত কান্তি সেন : অশুভ শক্তির বিনাশ আর শুভ শক্তির আগমনী বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে বাঙালি সনাতন ধর্মালম্ভীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও দেবী ভক্তরা আরাধনার আয়োজন করেছে। মন্দিরগুলো সেজেছে বর্নিল সাজে। মূলত ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যে দিয়েই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় দুর্গাপূজার। মহালয়ার পরদিন থেকেই আশ্বিন শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি অর্থাৎ দুর্গাপূজা শুরু জয়। ষষ্ঠী থেকে দশমী ঢাকের তালে, শঙ্খ আর উলোধ্বনির মধ্যে দিয়ে ধরনীতে পূজিত হবেন শুভ শক্তির দেবী দুর্গা।
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার মহাষষ্ঠীতে দুর্গার ষষ্ঠ্যাদিকল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যাবেলা দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে শুরু হয় দুর্গাৎসব।
২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার, মহাসপ্তমীতে নবপত্রিকা স্থাপন, সপ্তম্যাদিকল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পুজো করা হয়।
৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, মহাষ্টমীতে দেবীর দুর্গার আরাধনা, মহাস্নান ও ষোড়শোপচার পুজো করা হয়। আবার সন্ধি পুজোও এদিনই হয়। এছাড়া কুমারী পূজার প্রচলন ও রয়েছে অষ্টমিতে।
১ অক্টোবর বুধবার, মহানবমীতে, মহানবমীর মহাস্নান ও ষোড়শোপচার পুজো হবে এই তিথিতে।
২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার, দশমীতে দেবীর বরণ, সিঁদূর খেলা ও বিসর্জন হবে। চাঁদপুর কালীবাড়ি,গোপাল আঁখড়া, রামকৃষ্ণ মিশন, অকালবোধন সহ বেশীরভাগ মন্দির প্রাঙ্গণই সেজেছিলো বাহারী থিমে। তবে এক ব্যতিক্রম দুর্গোৎসবের আয়োজন করেছে চাঁদপুর পুরানবাজার দাসপাড়া মন্দির কতৃপক্ষ। পুজোর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইলিশ রক্ষার সচেতনতামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। জাটকা নিধন, ইলিশ রক্ষার নিমিত্তে থিমটি নজর কেড়েছে সকলের। কতৃপক্ষ বলছে যে, ইলিশের প্রতি ভালবাসা, রূপালী ইলিশ রক্ষার্থে তাঁদের এমন ব্যতিক্রম আয়োজন।