ঢাকা : বাংলাদেশ সফরে আসেননি নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ গ্যারি স্টেড। তার অবর্তমানে লুক রঙ্কিকে নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছে নিউজিল্যান্ড। নেই নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও। বাংলাদেশের বিপক্ষে কিউইদের নেতৃত্ব দেবেন লকি ফার্গুসন।
দলটির পেস বোলিং কোচ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে শেন জার্গেনসেন। এই অজি কোচ এক সময় বাংলাদেশের কোচ ছিলেন। ২০১৩-১৪ সালে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাংলাদেশে নতুন পরিচয়ে পা রেখেই পুরোনো সব চেনা মুখ খুঁজে পেয়েছেন এই কিউই কোচ।
আবারও বাংলাদেশে এসে দারুণ খুশি তিনি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেট প্রেমের প্রশংসা করেছেন তিনি। জার্গেনসেন মনে করেন বাংলাদেশের মানুষ হৃদয় থেকে ক্রিকেটকে ভালোবাসে। এ কারণেই আজকের অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
এই কিউই কোচ বলেছেন, ‘হ্যা আমি এখানে এসেছি কয়েক বছর পর। কিন্তু বাংলাদেশে বেশ কিছু পরিচিত মুখ দেখে ভালো লাগছে। আমি যখন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ছিলাম অনেকে তখন আমাদের দলকে সাহায্য করত এবং অনেক সমর্থক ছিল। তাই ফিরে ভালো লাগছে। অনেক পরিচিত সাংবাদিকদের দেখেছি বিমানবন্দরেও। তারা ক্রিকেটকে খুব ঘনিস্থভাবে ভালোবাসে।’
জার্গেনসেন কোচ থাকাকালীন বাংলাদেশ বেশ কিছু ম্যাচে জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে হেরেছিল। এ কারণে অনেক হতাশও হতে হয়েছিল। সবকিছুই বেশ ভালোভাবে মনে আছে এই কোচের। তবে এখন নিউজিল্যান্ডের হয়ে তার প্রধান লক্ষ্য হবে বাংলাদেশের গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া।
এ প্রসঙ্গে জার্গেনসেন বলেন, ‘আমার কিছু অল্প ব্যবধানে হারের কথা মনে আছে। অনেক টুর্নামেন্টে হতাশাজনক সময় গিয়েছে। কিন্তু এখানে বেশ কিছু ভালো জয়ও ছিল। তারা ক্রিকেটকে ভালোবাসে। তিন ম্যাচের সিরিজে তারা অবশ্যই কঠিন প্রতিপক্ষ হবে। হ্যা আমাদের প্রথম কাজ হবে গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া।’
সদ্যই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করে এসছে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডে গরম শুরু হয়ে গেলেও তা বাংলাদেশের মতো এতোটা তীব্র নয়। তাই এই কন্ডিশনকেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মানছেন তিনি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিন বান্ধব কন্ডিশনে ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ দেখছেন তিনি।
অবশ্য নিজ দলের ব্যাটারদের ওপর প্রত্যাশা নিয়ে জার্গেনসেন বলেন, ‘গরম এবং আদ্রতা ইংল্যান্ডের থেকে কিছুটা ভিন্ন হবে। এখানকার উইকেটে সাধারণত একটু বেশি স্পিন থাকে এবং এটা আমাদের ব্যাটিং লাইনআপের সামনে সুযোগ বোর্ডে কিছু রান তুলে বোলারদের সাহায্য করা।’