বরিশাল : নেটওয়াকিং ইঞ্জিনিয়ার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে অপর একজনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. হাসিবুল হাসান মামলা গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী মো. বায়জিদ।
নালিশি মামলা বাদী হলেন- বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বসিক) নেটওয়াকিং ইঞ্জিনিয়ার পদের চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা শেখ মো. সোয়েব কবির। তিনি নগরীর ব্যাপটিষ্ট মিশন রোডের বাসিন্দা শেখ মো. শাহাজাহান কবিরের ছেলে।
বিবাদীরা হলেন- বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ও নেটওয়াকিং ইঞ্জিনিয়ারিং পদে বর্তমানে কর্মরত ওবায়দুর রহমান।
বাদীর আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর নেটওয়াকিং পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বরিশাল সিটি করপোরেশন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন মামলার বাদী শেখ মো. সোয়েব কবির।
২০২১ সালের ৯ মে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি। ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়মিত বেতন-ভাতা দেওয়া হয় তাকে। এরপর না জানা কারণে বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যায় তার।
বাদীর অভিযোগ, তাকে চাকুরিচ্যুত না করে সরকারি বিধিবিধান না মেনে একই পদে আরেকজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনে গিয়ে বিবাদীদের কার্যালয়ে গিয়ে বেতন-ভাতা দেওয়ার ও অবৈধভাবে নিয়োগ বাতিলের অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা বেতন-ভাতা ও নিয়োগ বাতিল করা হবে না বলে জানিয়েছে। তাই বেতন-ভাতা দিতে মামলাটি করেছেন তিনি।