ঢাকা : বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশের ছয়টি প্রতিষ্ঠান এক কোটি করে এ ডিম আমদানি করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: হায়দার আলী গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমদানি করা ডিম লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এটি শুরু হবে। আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ডিম আমাদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠান ছয়টি হলো- চীজ গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স জয়নুর ট্রেডার্স, এস এম করপোরেশন এবং বিডিএস করপোরেশন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় আমিষের দাম বাড়ার মধ্যে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তবে সরকারের বেঁধে দেওয়া এই দামের প্রভাব পড়েনি বাজারে।
এ পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ১৮ সেপ্টেম্বর চারটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে আরও ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে বলা হয় তখন।
এদিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ১২ টাকা করে। দেখা যাচ্ছে, খুচরা পর্যায়ে এ দামে বিক্রি হচ্ছে না বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেখতে পেয়েছে। সেজন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে আমরা কিছু ডিম আমদানির অনুমোতি দিয়েছে। চারটি কোম্পানিকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে ডিমের দৈনিক চাহিদা চার কোটি। এজন্য দেশের বাজারে ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল আছে কিনা- তা পর্যবেক্ষণ করবে এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।