ফিলিস্তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় সকাল থেকে চলা ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১৬০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এসব হামলায় আহত হয়েছেন ১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা এবং ইসরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে এসব ফিলিস্তিনিরা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের দিকে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। এসব হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর বিবিসির।
শনিবার (০৭ অক্টোবর) কালে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এসব রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামলার প্রথম ২০ মিনিটেই ৫ হাজার রকেট ছোড়ার কথা জানিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনিদের এমন মুহুর্মুহু হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
হামাসের অব্যাহত হামলার পরপর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ হামলার জন্য হামাসকে নজিরবিহীন মূল্য দিতে হবে।
এদিকে ইসরায়েলে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনায় ফিলিস্থিনি যোদ্ধাদের অভিবাদন জানিয়েছে ইরান। ইরানের গণমাধ্যম আইএসএনএ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনির এক উপদেষ্টা শনিবার ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের বিগত বছরগুলোতে সবচেয়ে বড় হামলা করায় অভিবাদন জানান।
রাহিম সাফাভি নামের ওই উপদেষ্টা বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের স্বাগত জানাই। যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিন ও জেরুজালেমের স্বাধীনতা অর্জন হচ্ছে না, আমরা ফিলিস্তিনিদের যোদ্ধাদের পাশে থাকতে চাই।