চীন দীর্ঘ দিন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ ছিল। সম্প্রতি সেই স্থান নিয়েছে ভারত। জনসংখ্যা কমার বিষয়টাকে সংকট হিসেবে চিহ্নিত করে তা বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে চীন। এবার সেই উদ্যোগে যুক্ত হলো শিক্ষার্থীদের অর্থের বিনিময়ে শুক্রাণু দান প্রকল্প।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সি শিক্ষার্থীরা ৫০ দিন পর পর সর্বোচ্চ ২০ বার শুক্রাণু দিতে পারবেন। এটা একটা প্যাকেজ। কেউ ২০ বার শুক্রাণু দিলে তাকে একটা সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। সঙ্গে আসা-যাওয়ার খরচ বাদে দেওয়া হবে ৬ হাজার ১০০ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি টাকায় ৯১ হাজার ৬২৫।
শুক্রাণু দিতে এক শিক্ষার্থীর ৫ ফিট ৪ ইঞ্চির বেশি উচ্চতা থাকতে হবে। ধূমপায়ী, মাদকাসক্ত ও সমকামি হওয়া যাবে না। শুক্রাণুর নমুনাগুলো কমপক্ষে চারটি মানদণ্ডে মূল্যায়ন করা হবে- ঘনত্ব, আয়তন, গঠন এবং গতিশীলতা।
১০ সেপ্টেম্বর চীনের হিউম্যান স্পার্ম ব্যাংক শুক্রাণু সংগ্রহের এ আয়োজনের কথা জানান। সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে দেওয়া একটি পোস্টে জানায়, রক্তদানের মতো শুক্রাণু দেওয়াও একটি মানবিক কর্মকাণ্ড। এটি কিছু মানুষের জীবনে সুসংবাদ নিয়ে আসতে পারে।
চীনের ২৭টি স্পার্ম ব্যাংকের মধ্যে হেনান প্রদেশের হিউম্যান স্পার্ম ব্যাংক একটি। যারা গর্ভধারণ করতে পারেন না বা যারা বংশগত রোগে আক্রান্ত, তাদের সহায়তা করে এই স্পার্ম ব্যাংক। এই স্পার্ম ব্যাংকের উদ্যোগ দেখে দেশের অন্য স্পার্ম ব্যাংকগুলোও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে একই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
জন্মহার কমে যাওয়ায় ২০১৫ সালে এক সন্তান নীতি থেকে সরে আসে চীন। বর্তমানে দেশটিতে দম্পতিরা সর্বোচ্চ তিনটি সন্তান নিতে পারেন। তবে এরপরেও চীনে জন্মহার বাড়ানো যাচ্ছে না।
জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি, বেশিরভাগ নারীর কর্মক্ষেত্রে যাওয়া এবং উচ্চ শিক্ষার প্রতি ঝোঁক এ বিষয়গুলো জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি ধীর করে দিয়েছে দেশটিতে। সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।