মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের বাস্তুচ্যুতদের একটি শিবিরে জান্তার ড্রোন হামলায় অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিন মাস বয়সি একটিসহ মোট ১৩টি শিশু রয়েছে। একই হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৬ জন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) কাচিন রাজ্যের লাইজা শহরে এ হামলা চালানো হয়। রাজ্যটি চীন সীমান্তবর্তী। রাজ্যটিতে কয়েক দশক ধরে স্বায়ত্তশাসনের জন্য আন্দোলন চলছে। আন্দোলনটির সশস্ত্র বাহিনীর নাম কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ)। সোমবার যেখানে হামলা হয়েছে তা কেআইএ’র প্রধান কার্যালয় থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে।
হামলা ও হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিতকরণের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কেআইএ’র সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এ ছাড়া এ বিষয়ে জানতে মিয়ানমার জান্তার মুখপাত্রের সঙ্গেও তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করা যায়নি।
মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকারের (নাগ) একজন মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় হামলার প্রতিবেদন এবং ছবি শেয়ার করেছেন। তবে বিষয়টি নিশ্চিতকরণের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নাগ।
কাচিন পিস নেটওয়ার্ক নামক সিভিল সোসাইটি গ্রুপের সুপরিচিত স্থানীয় কর্মী খোন জা রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি স্থানীয় হাসপাতালে গিয়েছিলেন এবং সোমবার রাতের ওই হামলায় ২৯ জন মারা গেছেন বলে তাকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আক্রমণটি মধ্যরাতে হয়েছে। বোমাটি খুব শক্তিশালী ছিল। গ্রামটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এখন পর্যন্ত ২৯ জন নিহত এবং ৫৯ জন আহত হয়েছেন বলে হাসপাতাল নিশ্চিত করেছে। তবে আলজাজিরাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩২ বলে জানিয়েছে।
কেআইএ’র মুখপাত্র বলেছেন, ‘আক্রমণের আগে আমরা কোনো বিমান উড়ে যাওয়ার শব্দ শুনিনি। তাই আমরা সন্দেহ করছি, এটি ড্রোন হামলা হতে পারে। আমাকে বলা হয়েছে শিবিরে বোমাটি ফেলা হয়েছে।’ সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা।