ঢাকা : রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা, পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া, বাসে ও হাসপাতালে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অন্তত ২৪টি মামলার প্রস্তুতি চলছে। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় এসব মামলা হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সূত্র জানায়, শনিবারের সহিংসতার ঘটনায় রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত ৬৮২ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া শাহজাহানপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে নাশকতা ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের মামলা করেছে।
ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শনিবার মহাসমাবেশ কর্মসূচি ডাক দিয়ে শর্ত ভঙ্গ করে পুলিশ হত্যা, নাশকতা, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এসব ঘটনায় অন্তত অর্ধশত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছেন। একজন মারা গেছেন। ঘটনাটি খুবই গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তদন্ত রকছে পুলিশ। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অন্তত ২৪টি মামলা হবে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনায় রাজধানীর পল্টনসহ-সংলগ্ন কয়েকটি এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এতে এক পুলিশ সদস্য ও যুবদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে ফকিরাপুল এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতও রয়েছে।
নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা শামীম মোল্লা মারা গেছেন রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে। দিনভর হামলা-সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিএনপির নেতাকর্মীসহ আহত হয়েছেন তিন শতাধিক।