গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) পর্যন্ত অন্তত ৯ হাজার ৬১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশু ৩ হাজার ৭৬০ জন। ২০১৯ সালের পর আর কোনো যুদ্ধে এত অল্প সময়ে এত বেশি শিশু নিহত হয়নি।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) জানায়, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে অন্তত আরও ২ হাজার ৬০০ জন। নিখোঁজদের মধ্যে শিশু ১ হাজার ১৫০। এসব নিখোঁজ ব্যক্তি ও শিশু নিহত হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জাতিসংঘের জেনেভা কনভেনশনে যুদ্ধে শিশুদের রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। ইসরায়েল তা তোয়াক্কা করছে না। দেশটি শরণার্থীশিবির, হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ বা গির্জা সর্বত্র হামলা চালাচ্ছে।
ইসরায়েলি হামলায় শুধু আজ বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) গাজায় ২৫৬ জন নিহত হয়েছে। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত ১৩৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে অন্তত ২৫টি অ্যাম্বুলেন্স।
গাজার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ১৬টি ধ্বংস হয়েছে। মৃত্যুপুরীটির একমাত্রা ক্যানসার হাসপাতালের কার্যক্রম জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
২৭ দিনের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। স্থানচ্যুত হয়েছে অন্তত ১৪ লাখ, যা উপত্যকাটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ব্যাপক রকেট হামলা চালায় হামাস। পাশাপাশি তাদের যোদ্ধারা দেশটিতে ঢুকে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে ইসরায়েল ১ হাজার ৫৩৮ জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় ৪ হাজার।
জবাবে গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েল ইতোমধ্যে উত্তর গাজাকে উপত্যকাটির বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। সেখানে হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের ব্যাপক যুদ্ধ হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ইসরায়েল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে গাজায় নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তবে হামাস রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে পঙ্গু হওয়ার পর বিধ্বস্ত উপত্যকাটির শাসনভার কে নেবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সূত্র : আল-জাজিরা, আল-মনিটর।