স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা জেলার সাভার থানার হেমায়েতপুর এলাকায় সেলফী পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাস চাপায় পুলিশের নারী কনস্টেবল নিহতের ঘটনায় ঘাতক চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) । গ্রেফতারকৃতের নাম- কামরুল ইসলাম।
গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার পুকুর চান্দাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি একই থানার মহিষাখাল গ্রামের দায়েম উদ্দিনের ছেলে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এতে নিহতের স্বামীও গুরুতর আহত হন।
বুধবার ( ২৯ নভেম্বর ) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কুদরত-ই-খুদা এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার কুদরত বলেন, নিহত কনস্টেবল আফসানা আক্তার রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বরে এপিবিএনে কর্মরত ছিলেন। ডিউটি শেষে উত্তরা থেকে স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে বোনের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন পুলিশ সদস্য আফসানা আক্তার।
পথে সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সেলফী পরিবহণের একটি দ্রুতগতির বাস পেছন থেকে তাদের মোটরসাইকেলটি ধাক্কা দেয়। এ সময় ওই পুলিশ সদস্য সড়কে ছিটকে পড়লে বাসটি তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তার স্বামীও আহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ তদন্ত করে। পাশাপাশি পিবিআই ছাঁয়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাস চালক কামরুলকে মহাদেবপুর থানার হাজরা পুকুর চান্দাশ এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপর বাস চালক কামরুল একটি পিকআপে করে পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে অভিযান চালালেও বগুড়ায় গিয়ে তিনি সটকে পড়েন। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চান্দাশ এলাকার একটা বাড়ির মাটির ঘরের একটি ঘর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই পুলিশ সুপার আরও বলেন, পুলিশ সদস্য আফসানা আক্তার নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক বাস চালক কামরুল ইসলাম কে গ্রেফতার করে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত আফসানা বরিশাল জেলার আব্দুল করিমের মেয়ে।