অ্যাপল ওয়াচ শুধুমাত্র প্রিমিয়াম ফিচার কিংবা ডিজাইনের জন্যই এতো জনপ্রিয় নয়। এর নানা বিশেষত্ব রয়েছে। বারবার ব্যবহারকারীদের জীবন বাঁচিয়ে বাজারের জনপ্রিয়তা বড় একটা অংশ নিজের দখলে রেখেছে অ্যাপল এর প্রিমিয়াম স্মার্টওয়াচটি। অনেক ব্যবহারকারী আধুনিক ঘড়িটির মাধ্যমে বিপদমুক্ত হয়েছেন—এমন খবর রয়েছে।
সবমিলিয়ে এর হেলথ ট্র্যাকিং ফাংশনগুলো অনন্য। এবার কেবল মানুষ নয়, ‘জঙ্গলের রাজা’ও নাকি অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করছেন! সিংহের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতেই এমন কাণ্ড। জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার পশুচিকিৎসকরা এখন সিংহ ও অন্যান্য প্রাণীদের হৃদস্পন্দন পর্যবেক্ষণ করতে অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান পশুচিকিৎসক ড. ক্লোই বুটিং যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জঙ্গল ডাক্তার নামে পরিচিত, তিনি বন্যপ্রাণীর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করার এই নতুন পদ্ধতিটি ইনস্টাগ্রাম-এ শেয়ার করেছেন। তার একটি চিত্তাকর্ষক ভিডিও পোস্টে একটি অচেতন সিংহকে জিভে অ্যাপল ওয়াচ বাঁধা অবস্থায় দেখা গেছে।
ড. বুটিংয়ের মতে, স্মার্টওয়াচটির এই ‘অফ-লেবেল’ ব্যবহার মানুষ, প্রাণী নির্বিশেষে সবার জীবন বাঁচানোর প্রযুক্তিগত সম্ভাবনাকে উন্মোচন করে। ইনস্টাগ্রাম ভিডিওর ক্যাপশনেও বুটিং বলেছেন, অ্যাপল ওয়াচ সিংহেরও হৃদস্পন্দন পরিমাপ করতে পারে, যদি এটিকে তার জিভের সঙ্গে বেঁধে রাখা যায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, তার এই নতুন পদক্ষেপ অর্থাৎ প্রাণীদের উপর অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহারের কৌশলটি আসলে বিশিষ্ট বন্যপ্রাণী সংরক্ষক এবং পশুচিকিৎসক ডক্টর ফ্যাবিওলা কুয়েসাদার দ্বারা অনুপ্রাণিত। ফ্যাবিওলা, একটি হাতির হৃদস্পন্দন মাপতে সেটির কানে টেপ লাগিয়ে অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করেছিলেন।
সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে বন্য অঞ্চলে বড় এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক প্রাণীর হৃদস্পন্দন নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে এই ঘড়িটি ব্যবহার করা যেতে পারে, এমনটা আশ্চর্যজনক নয়! কীভাবে হার্ট রেট মাপে? অ্যাপল ওয়াচ হৃদস্পন্দন মনিটর করার জন্য ফটোপ্লেথিসমোগ্রাফি প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সঙ্গে থাকে লাইট-সেন্সিটিভ ফটোডায়োডযুক্ত সবুজ এলইডি লাইট। হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনের ভিত্তিতে প্রতি সেকেন্ডে শত শত বার এই লাইট ফ্ল্যাশ করে, আর স্মার্টওয়াচটি ফ্লাকচুয়েশন পরিমাপ করে হার্ট রেট গণনা করে।