জবি প্রতনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর ) সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসি ভবনের সামনে আসেন। এ সময় ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে সেখানেই অবস্থান করেন পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।
এসয়ময় শিক্ষার্থীরা ‘এই মুহুর্তে দরকার, সেনাবাহিনী ঠিকাদার’, ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আবাসন, কবে দিবা প্রশাসন’, ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস চাই, শিক্ষার গতি বাড়ায়’, ‘এক দুই তিন চার, ক্যাম্পাস আমার অধিকার’, ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো- স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দূর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে ২য় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল ), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সকল অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এ বিষয়ে ইসলামিক ইস্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন,নতুন ক্যাম্পাসের কাজের সুযোগ নিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে যারা তাদের বিচার এবং ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার জন্যই মূলত আমাদেরএই আন্দোলন।সৈরাচারী দোষরদের জন্য বারবার আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ থেমে গেছে যার কারণে বারবার মেয়াদ বারানো হয়েছে।তবে এমন কোনো কিছু যাতে না হয় তার জন্য যা করার দরকার হয় আমরা করবো।
আরেক শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, নতুন ক্যাম্পাস হবে হবে বলে হয়নি কারণ বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি লুটপাট করে চলে গেছে, আমরা ভেবেছিলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে থেকে ভিসি আসলে হয়তো দাবি আদায় হবে তাও হয়নি। প্রশাসনকে বলতে চাই ঘুঘু দেখেছেন ঘুঘুর ফাঁদ দেখেননি, জবিয়ান দেখেছেন জবিয়ানদের বিদ্রোহ দেখেননি, ৫ আগস্ট হাসিনাকে বাংলাদেশ ছাড়া করার পেছনে জবিয়ানদের কি অবদান সেটা যদি আপনাদের জানা থাকত এক মাসের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতেন।