
বারহাট্টা(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ কুরআন হাদিস ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করার লক্ষ্যে মসজিদ হল রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র।বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা হবে ইসলামি দল দ্বারা।ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর মসজিদ থেকে রাস্ট্রীয় ফয়সালা হবে।এক্ষেত্রে যদি আরো আপত্তি থাকে তাহলে কিছুই করার নাই।জামায়াতে ইসলামি ইসলামি রাস্ট্র প্রতিষ্ঠায় প্রথম সারিতে আছি।যে রাজনীতি মসজিদে বসে কথা বলা যায়না সে রাজনীতি করার জায়েজ নাই।নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় মডেল মসজিদে জোরপূর্বক রাজনৈতিক পোগ্রামের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি বাসির খান। এসময় তিনি বারহাট্টা প্রেসক্লাবে সভাপতিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বলেও তাচ্ছিল্য করেন।এসময় প্রেসক্লাবের সভাপতির বিরুদ্ধে মডেল মসজিদের খতিবকে ধমকানোর অভিযোগও করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি।
এর আগে আজ ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের পরপরই মুসলমানদের ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক ব্যবহারের অভিযোগ উঠে বারহাট্টা উপজেলা জামায়াতের বিরুদ্ধে। উপজেলার মডেল মসজিদে জুম্মার নামাজের পর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর এক রাজনৈতিক পোগ্রামকে ঘিরে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন মডেল মসজিদের নিয়মিত নামাজ আদায় করতে আসা মুসুল্লিরা।
উপজেলা মডেল মসজিদে নিয়মিত জুম্মার নামাজ আদায় করতে আসা কয়েকজন মুসুল্লি জানান,মসজিদ শুধুই একটি ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, এটি মুসলিম সমাজের একাত্মতার প্রতীক, মহান আল্লাহর ঘর। সেখানে রাজনৈতিক স্বার্থে সভা আয়োজন ধর্মের সঙ্গে যেমন সাংঘর্ষিক, তেমনি সামাজিকভাবেও অগ্রহণযোগ্য।আমরা শুধু মডেল মসজিদ নয় যেকোন মসজিদেই রাজনৈতিক পোগ্রাম আয়োজনের বিপক্ষে।আশা করি বারহাট্টা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টি মাথায় রাখবেন।
বারহাট্টা মডেল মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা নাজমুল হাসান জানান আমি নামাজ পড়ানোর পর ২ টা দুই মিনিটের পর আমার রুমে চলে আসি। পরবর্তীতে আরো বেশ কিছু মুসুল্লিকে মসজিদে বসে থাকে একটা পোগ্রাম করতে দেখেছি।তবে কেউ আমি অথবা আমার স্টাফ কারো কাছ থেকে কোন পোগ্রামের অনুমতি নেয়নি।বারহাট্টা প্রেসক্লাবের সভাপতি আপনাকে এই বিষয়ে ধমক দিয়েছে কিনা এটা জানতে চাইলে তিনি জানান আমাকে ধমকানোর তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি আমাকে ধমকাবেন কেন।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান জানান মডেল মসজিদে অনুমতি ব্যতীত কোন পোগ্রাম করা যাবেনা। আজকে সেখানে একটা পোগ্রাম অনুমতি না নিয়েই করা হয়েছে বলে শুনেছি ।আমি আমার মডেল মসজিদের খতিবকে বলে দিয়েছি সেখানে কোন ধরণের রাজনৈতিক পোগ্রাম যেন আর না করতে পারে।