ঢাকা : শুরুটা যা হয়েছিল তা দেখে ইনিংস শেষে নিউজিল্যান্ড নিশ্চয়ই স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছে। পাওয়ার প্লেতে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারানো দল ৫০ ওভার শেষে তুললো ২৫৪।
শুরুর বিচারে এই স্কোরকে মোটেও মন্দ বলার সুযোগ নেই। তবে ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট কিনা সেটা প্রমাণের জন্য নিউজিল্যান্ড বোলারদের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ, সেটাই।
মিরপুরে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার মতো অনেক নজির আছে বাংলাদেশের। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু শুরুর তিন ব্যাটার তাদের এই ম্যাচে ব্যর্থ।
মিডলঅর্ডারে হেনরি নিকোলস ও টম ব্যান্ডেল ব্যাট হাতে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এই দুজনে যোগ করেন ৯৫ রান। নিকোলস ৬১ বলে ৪৯ রান তুলে ম্যাচে খালেদ আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হন।
উইকেটকিপার ব্যাটার টম ব্যান্ডেল একপাশ আঁকড়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬৮ বলে ৬৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠা ব্যান্ডেলকে নিজের ফিরতি স্পেলে ফেরান হাসান মাহমুদ।
আগের ম্যাচে শূন্য রানে ফেরা স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বেশিদূর যেতে পারেননি। ১০ রানে তাকে ফেরান স্পিনার মাহেদি হাসান।
শেষের দিকে কোলে ম্যাকেঞ্চি, ইস সোধি ও কাইল জেমিসনের ব্যাটে নিউজিল্যান্ড ২৫৪ রানের চ্যালেঞ্জ দাঁড় করায়। শেষের ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ডের লেজের সারির ব্যাটাররা ৬৫ রান যোগ করেন।
ম্যাচে বাংলাদেশের পাঁচ বোলারের সবাই উইকেট পান। ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা সাফল্য স্পিনার মাহেদি হাসানের। আর অভিষেকে দুই উইকেট পেলেও খালেদ আহমেদ ছিলেন খরুচে। ৯.২ ওভারে ৬০ রান দিয়ে তার অর্জন ২ উইকেট।