কুড়িগ্রাম : চারণকবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বর থেকে এক নম্বর আসামি রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘কবির ওপর হামলার মূল আসামিকে দুপুরের দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।’
গত ৩০ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে নিজ এলাকায় হামলার শিকার হন চারণকবি রাধাপদ রায়। এ ঘটনায় কবির ছেলে জুগল রায় নাগেশ্বরী থানায় রফিকুল ইসলাম ও কদুর আলী নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর মধ্যে কদুর আলী এখনও পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এজাহারে বলা হয়েছে, প্রায় এক মাস আগে স্থানীয় একটি সালিশে আসামিদের সঙ্গে রাধাপদ রায়ের কথা কাটাকাটি হয়। তারই জেরে গত শনিবার পরিকল্পিতভাবে পথরোধ করে তার ওপর আক্রমণ চালান রফিকুল ইসলাম ও কদুর আলী। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কবির শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।
অভিযোগ রয়েছে, আসামিরা ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল আলম সফির মদদপুষ্ট। তারা চেয়ারম্যানের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কবির উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও আর্থিক সংকটে তা পারছেন না বলছেন কবির ছেলে শ্রী জুগল রায়।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক বাবার উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও আর্থিক সংকটের কারণে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছি না। কারণ দিনমজুর করে সংসার চলে আমাদের। উন্নত চিকিৎসার টাকা কোথায় পাব? বাধ্য হয়ে বাবাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে।’
কবির বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি তার সার্বিক চিকিৎসা দিতে। তিনি কোমরে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আমাদের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক কোনো চিকিৎসক নেই। তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তার পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছি।’